ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা ভারী বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি গত চার দিন ধরে লাগাতার বাড়ছে। এতে জেলার তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে এ সময়ে যমুনার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার এবং শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

ফলে জেলা সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের অনেক গ্রামের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশে ফসল ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৬টায় শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১৯ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৭১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত চার দিনে এই পয়েন্টে পানি বেড়েছে মোট ৩৫ সেন্টিমিটার। রোববার বৃদ্ধি ছিল ১৪ সেন্টিমিটার, শনিবার ৮ সেন্টিমিটার এবং শুক্রবার ৩ সেন্টিমিটার।

একইভাবে কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গতকাল যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯২ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে গত চার দিনে পানি বেড়েছে মোট ৩৬ সেন্টিমিটার।

বাঘাবাড়ী নদীবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আজকে বুধবার পর্যন্তও যমুনার পানি বাড়তে পারে। উজানে বৃষ্টিপাত বেড়েছে এবং মেঘের অবস্থান দেশের উত্তরের দিকে রয়েছে, ফলে পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, যমুনার পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তাই বন্যার শঙ্কা নেই। তবে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নদীভাঙন রোধ এবং বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি

আপডেট সময় : ০১:১২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা ভারী বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি গত চার দিন ধরে লাগাতার বাড়ছে। এতে জেলার তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে এ সময়ে যমুনার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার এবং শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

ফলে জেলা সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের অনেক গ্রামের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশে ফসল ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৬টায় শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১৯ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৭১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত চার দিনে এই পয়েন্টে পানি বেড়েছে মোট ৩৫ সেন্টিমিটার। রোববার বৃদ্ধি ছিল ১৪ সেন্টিমিটার, শনিবার ৮ সেন্টিমিটার এবং শুক্রবার ৩ সেন্টিমিটার।

একইভাবে কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গতকাল যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯২ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে গত চার দিনে পানি বেড়েছে মোট ৩৬ সেন্টিমিটার।

বাঘাবাড়ী নদীবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আজকে বুধবার পর্যন্তও যমুনার পানি বাড়তে পারে। উজানে বৃষ্টিপাত বেড়েছে এবং মেঘের অবস্থান দেশের উত্তরের দিকে রয়েছে, ফলে পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, যমুনার পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তাই বন্যার শঙ্কা নেই। তবে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নদীভাঙন রোধ এবং বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।