ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বোরকা পরে পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা খেলেন মসজিদের ইমাম কুমারখালীতে কর ফাঁকি দেওয়ায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা চাকরি ও চেম্বার একসাথে, নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিকে তানভীরের আলোচিত রমরমা বাণিজ্য!25 আক্কেলপুর থানার (ওসি) ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে ওসি মাসুদ রানার পদাবনতি, এখন এসআই25 প্রধানমন্ত্রী পদে ১০ বছরের বেশি নয়—সিদ্ধান্তে একমত বিএনপি25 গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ বিশ্বের বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহর25 ‘উত্তরণ’ নাটকের ৩৩তম মঞ্চায়ন বৃহস্পতিবার, বিবেকানন্দ থিয়েটারের বিশেষ আয়োজন দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার এক অভিষেক এনবিআরের সাড়ে ১৬ হাজার অভিযান, রাজস্ব ফাঁকি ৬২৪৬ কোটি টাকা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩১ ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ত্রাণের নামে ‌‘মরণ ফাঁদ’, ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি25

ত্রাণের নামে ‌মরণ ফাঁদ ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি25

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ থামছেই না। মঙ্গলবার উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২৮৯ জন। তাদের মধ্যে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ জন।

বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন। হতাহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় পাঁচ হাজার ৭৫৯ জন নিহত ও ১৯ হাজার ৮০৭ জন আহত হয়েছেন।

হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য-গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলের সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দিন সড়কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গুলির এ ঘটনায় ১৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।

এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আলতিনা সড়কে ত্রাণ নিতে গেলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরাইলি সেনারা। উত্তরের গাজা নগরী এবং দক্ষিণের রাফায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদেরও হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে এদিন ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ নিতে গিয়ে গত এক মাসে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৫১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজার ৭৯৯ জন।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জিএইচএফ প্রতিষ্ঠা করে ইসরাইলি বাহিনীর সহায়তায় কিছু এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছে, যা ২১ লাখ বাসিন্দার উপত্যকাটির অর্ধাহার-অনাহারে থাকা মানুষের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। দাতব্য সংস্থাগুলোকে বাদ দিয়ে এভাবে ত্রাণ দেওয়ার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, গাজায় ত্রাণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও সমালোচনার মুখে গত মে মাসের শেষ দিকে জিএইচএফ ত্রাণ দেওয়া শুরুর পর থেকে ত্রাণ নিতে প্রতিদিনই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে কয়েক ডজন করে ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি মঙ্গলবার জার্মানির বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কথিত ত্রাণ দেওয়ার এই ব্যবস্থা একটি ঘৃণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ত্রাণের নামে ‌‘মরণ ফাঁদ’, ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি25

ত্রাণের নামে ‌মরণ ফাঁদ ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি25

আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

অনলাইন ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ থামছেই না। মঙ্গলবার উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২৮৯ জন। তাদের মধ্যে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৯ জন।

বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন। হতাহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় পাঁচ হাজার ৭৫৯ জন নিহত ও ১৯ হাজার ৮০৭ জন আহত হয়েছেন।

হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য-গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলের সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দিন সড়কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গুলির এ ঘটনায় ১৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।

এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আলতিনা সড়কে ত্রাণ নিতে গেলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরাইলি সেনারা। উত্তরের গাজা নগরী এবং দক্ষিণের রাফায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদেরও হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে এদিন ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ নিতে গিয়ে গত এক মাসে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৫১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজার ৭৯৯ জন।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জিএইচএফ প্রতিষ্ঠা করে ইসরাইলি বাহিনীর সহায়তায় কিছু এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছে, যা ২১ লাখ বাসিন্দার উপত্যকাটির অর্ধাহার-অনাহারে থাকা মানুষের চাহিদার তুলনায় খুবই কম। দাতব্য সংস্থাগুলোকে বাদ দিয়ে এভাবে ত্রাণ দেওয়ার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, গাজায় ত্রাণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও সমালোচনার মুখে গত মে মাসের শেষ দিকে জিএইচএফ ত্রাণ দেওয়া শুরুর পর থেকে ত্রাণ নিতে প্রতিদিনই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে কয়েক ডজন করে ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি মঙ্গলবার জার্মানির বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কথিত ত্রাণ দেওয়ার এই ব্যবস্থা একটি ঘৃণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’