গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ বিশ্বের বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহর25
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ বিশ্বের বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহর25

- আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্কঃ গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫: ৩ ধাপ পিছিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দামেস্ক, ত্রিপলির ওপরে ঢাকার অবস্থান
কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলেও ঢাকার প্রধান সমস্যাগুলো রয়ে গেছে আগের মতোই—দূষিত বাতাস, ভয়াবহ যানজট, নালা-নর্দমার উপচে পড়া, দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা আর নগর পরিকল্পনার চরম অভাব।
ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর ২০২৫ সালের গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্সে বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা তিন ধাপ পিছিয়ে ১৭১ তম অবস্থানে রয়েছে। ঢাকার আগে রয়েছে শুধু যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও লিবিয়ার ত্রিপলি।
কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলেও ঢাকার প্রধান সমস্যাগুলো রয়ে গেছে আগের মতোই—দূষিত বাতাস, ভয়াবহ যানজট, নালা-নর্দমার উপচে পড়া, দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা আর নগর পরিকল্পনার চরম অভাব।সবকিছু মিলিয়ে ঢাকা এখন বিশ্বের তৃতীয় বসবাস অযোগ্য শহর।
১৬ জুন প্রকাশিত এই তালিকায় বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় দামেস্ক সর্বনিম্ন ১৭৩তম অবস্থানে রয়েছে। তারপরেই ১৭২তম অবস্থানে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি। ঢাকার আগের ১৭০ ও ১৬৯তম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তানের করাচি ও আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স।
ইআইইউ প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করে, যেখানে পাঁচটি প্রধান মানদণ্ডে বিশ্বের ১৭৩টি শহরের মূল্যায়ন করা হয়। মানদণ্ডগুলো হলো–স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।
মোট ৪.১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৭১তম অবস্থানে থাকা ঢাকার পাঁচটি মানদণ্ডে স্কোর যথাক্রমে–স্থিতিশীলতা ৪৫, স্বাস্থ্যসেবা ৪১.৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশ ৪০.৫, শিক্ষা ৬৬.৭ এবং অবকাঠামো ২৬.৮।
সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকে দামেস্ক পাঁচটি মানদণ্ডে খুবই কম স্কোর পেয়েছে—স্থিতিশীলতায় ২০, স্বাস্থ্যসেবায় ২৯.২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩৩.১, শিক্ষায় ২৫ এবং অবকাঠামোয় ৩২.১। সব মিলিয়ে দামেস্কের মোট স্কোর দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৮।
অন্যদিকে, এবারের তালিকায় সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে উঠে এসেছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। এর আগে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা টানা তিন বছরের শীর্ষ অবস্থানে ছিল।
কোপেনহেগেন স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো ও শিক্ষায় পূর্ণ ১০০ নম্বর পেয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবায় ৯৫.৮ এবং সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৯৫.৪ স্কোর করেছে। সব মিলিয়ে শহরটির মোট স্কোর দাঁড়িয়েছে ৯৮।
তালিকার শীর্ষস্থানগুলো দখলে রেখেছে পশ্চিম ইউরোপের শহরগুলো। আর নিচের দিকটা দখল করে আছে যুদ্ধ ও সংকটে থাকা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার শহরগুলো।
ইআইইউর এই গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্সকে বিশ্বের বড় শহরগুলোর জীবনমান পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।