জাপার মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান পেলেন এনসিপির পদ
- আপডেট সময় : ১০:২৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 3
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পঞ্চগড় জেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন মিলেছে কেন্দ্রীয় সংগঠনে। আর এ ঘোষণার পরই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। অভিযোগ উঠেছে, ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ বলে সমালোচিত জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক নেতাদেরও নতুন কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত এ কমিটির অনুমোদনপত্র প্রকাশিত হয়।
কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারীর তালিকায় আছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন। তিনি আগে জাতীয় পার্টির সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছিলেন জাপার জেলা কমিটির সদস্য। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে দলটির মনোনয়নে নির্বাচনও করেছেন।
শুধু তিনিই নন, কমিটির আরও দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল লতিফ ও মতিয়ার রহমান আগেও জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
কমিটির তালিকা প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা। পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, কাউকে ছোট করার জন্য নয়, এটা নীতি নৈতিকতার প্রশ্ন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয় এনসিপি থেকে। আবার সেই দুই দলের নেতাদেরই কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেকও একাধিক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, জাতীয় পার্টি যদি দোসর হয়, তাহলে জাপার লোক দিয়ে কমিটি কেন? আরেক স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, একদিকে বলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না, অন্যদিকে জাপার লোক দিয়ে কমিটি দেয় এই হলো তাদের চরিত্র।
এ বিষয়ে আবু সালেক বলেন, হাফিজাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনসহ কমিটির তিন সদস্য আগে জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। পরে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এনসিপির জেলা কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং সদর উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী তানবীরুল বারী নয়ন বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।


























