ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা25 স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ25 মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ১৮তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের সুযোগ দাবিতে আন্দোলন শুরু ভয়াবহ অসুখের কারণে বিয়ে করছেন না সালমান, জানালেন নিজেই25 নতুন দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে ইসি নারীদের সাথে প্রতারনার ফাঁদ “মতিহার থানা হস্তশিল্প শ্রমিক ইউনিয়নের25 শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন সিইসিসহ ১৯ জনের নামে বিএনপির মামলা নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ

ফরিদপুরে যুবলীগ নেতাকে টর্চার’ পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও ভাইরাল’ তদন্ত কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত গত সোমবার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও আপলোড করার পরে ওই ভিডিওটি নিয়ে হইচই পড়ে গেছে গোটা ফরিদপুরে। আপলোড ভিডিওটি জেলার সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামানকে নিয়ে জানা গেছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় জিন্সপ্যান্ট ও কোট পরা এক ব্যক্তির হাতে হাতকড়া। দু’চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা। তার সামনের চেয়ারে বসা ব্যক্তি (পরিদর্শক আহাদুজ্জামান) বলছেন, ‘তোর কী হইছে? কে মারছে? আমি তো তোগ লোক না। তোগে লোক হলে থানায় থাকতে পারতাম। আমি এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক।
আহাদুজ্জামান ওই পুলিশ ফাড়ির দায়িত্ব পাওয়ার আগে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন। ভিডিওতে হাতকড়া পরা ব্যক্তি ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত। এ ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান।
শেখ আরাফাত সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাউলিবেড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাতকড়া পরিয়ে গাড়ির মধ্যেই চার পুলিশ সদস্য তাকে মারধর করেন। এরপর পুখরিয়া এলাকায় ডিবি পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। এ সময় চোখ বেঁধে ‘ক্রসফায়ারের’ নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, ‘সকালের সূর্য তুই দেখতে পারবি না। আজই তোর শেষ রাত।’ কিন্তু ওই রাতে এসপি কার্যালয়ের তিনতলায় ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে চেয়ারে পিঠমোড়া করে বেঁধে তার দু’পায়ে লাঠি দিয়ে আধাঘণ্টা ধরে পেটানো হয়। এরপর ডিবির তৎকালীন ওসি আহাদুজ্জামান আসেন। সেই ঘটনার ভিডিও তিনি আপলোড করেছেন।
আহাদুজ্জামান ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত ডিবির ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তাকে সদরপুরের চন্দ্রপাড়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।
এ বিষয়ে পরিদর্শক আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি আরাফাতকে চোখ বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। তাকে মারধর করা হয়েছে কি না, জানি না। এর আগে আরাফাত আমাকে বলেছিলেন, আমি না-কি নিক্সন চৌধুরীর লোক। এর উত্তরে আমি বলেছি, নিক্সন চৌধুরীর লোক হলে আমি থানাতেই থাকতে পারতাম।
ভিডিওটির বিষয়ে ফরিদপুরের এসপি মো. আলিমুজ্জামান সাংবাদিদের বলেন, ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামাল পাশাকে আহ্বায়ক করে মঙ্গলবার রাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আরাফাত অনেক মামলার আসামি। বিষয়টি পরিকল্পিত হতে পারে। আমি আর কিছু জানি না।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদপুরে যুবলীগ নেতাকে টর্চার’ পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও ভাইরাল’ তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ১২:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত গত সোমবার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও আপলোড করার পরে ওই ভিডিওটি নিয়ে হইচই পড়ে গেছে গোটা ফরিদপুরে। আপলোড ভিডিওটি জেলার সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামানকে নিয়ে জানা গেছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় জিন্সপ্যান্ট ও কোট পরা এক ব্যক্তির হাতে হাতকড়া। দু’চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা। তার সামনের চেয়ারে বসা ব্যক্তি (পরিদর্শক আহাদুজ্জামান) বলছেন, ‘তোর কী হইছে? কে মারছে? আমি তো তোগ লোক না। তোগে লোক হলে থানায় থাকতে পারতাম। আমি এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক।
আহাদুজ্জামান ওই পুলিশ ফাড়ির দায়িত্ব পাওয়ার আগে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন। ভিডিওতে হাতকড়া পরা ব্যক্তি ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত। এ ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান।
শেখ আরাফাত সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাউলিবেড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাতকড়া পরিয়ে গাড়ির মধ্যেই চার পুলিশ সদস্য তাকে মারধর করেন। এরপর পুখরিয়া এলাকায় ডিবি পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। এ সময় চোখ বেঁধে ‘ক্রসফায়ারের’ নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, ‘সকালের সূর্য তুই দেখতে পারবি না। আজই তোর শেষ রাত।’ কিন্তু ওই রাতে এসপি কার্যালয়ের তিনতলায় ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে চেয়ারে পিঠমোড়া করে বেঁধে তার দু’পায়ে লাঠি দিয়ে আধাঘণ্টা ধরে পেটানো হয়। এরপর ডিবির তৎকালীন ওসি আহাদুজ্জামান আসেন। সেই ঘটনার ভিডিও তিনি আপলোড করেছেন।
আহাদুজ্জামান ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত ডিবির ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তাকে সদরপুরের চন্দ্রপাড়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।
এ বিষয়ে পরিদর্শক আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি আরাফাতকে চোখ বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। তাকে মারধর করা হয়েছে কি না, জানি না। এর আগে আরাফাত আমাকে বলেছিলেন, আমি না-কি নিক্সন চৌধুরীর লোক। এর উত্তরে আমি বলেছি, নিক্সন চৌধুরীর লোক হলে আমি থানাতেই থাকতে পারতাম।
ভিডিওটির বিষয়ে ফরিদপুরের এসপি মো. আলিমুজ্জামান সাংবাদিদের বলেন, ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামাল পাশাকে আহ্বায়ক করে মঙ্গলবার রাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আরাফাত অনেক মামলার আসামি। বিষয়টি পরিকল্পিত হতে পারে। আমি আর কিছু জানি না।