ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ট্রাম্প গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ: গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা নিয়ে আবারও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, তিনি এটাই চান। এমনকি গাজার মানুষ নরকের ভেতর দিয়ে গেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প গাজা নিয়ে এই মন্তব্য করেন বৃহস্পতিবার সাংবাদকদের সঙ্গে কথা বলার সময়। তিনি বলেন, “আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওরা সত্যিই নরকের ভেতর দিয়ে গেছে।”

গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তিনি কি এখনও চান যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ন্ত্রণ করুক? এর জবাবে ট্রাম্প গাজা নিয়ে তার আগের অবস্থান স্পষ্ট না করলেও জানান, মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প গাজা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। এরপরও বিভিন্ন সময়ে তিনি এই প্রস্তাব সামনে আনেন।

যুদ্ধবিরতি ইস্যু

এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করি, আগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে।” তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজা এবং ইরান ইস্যুতে বৈঠক করবেন।

ট্রাম্প গাজা ইস্যুতে যুদ্ধবিরতির আশার কথা জানালেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে প্রতিদিন নতুন করে মানুষ নিহত হচ্ছে।

গাজায় মানবিক বিপর্যয়

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ এই হামলাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৫৭ হাজার ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের আগের নীতির কারণে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজার জনগণের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবিরতি জরুরি হলেও রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া এ সংকট দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যাবে। ট্রাম্প গাজা ইস্যুতে যেভাবে বারবার বক্তব্য দিচ্ছেন, তা আগামী মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রাম্প গাজা নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা মানবিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাস্তবে কীভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। গাজার মানুষ নিরাপদে থাকার অধিকার রাখে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই বিষয়ে একযোগে কাজ করা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ: গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক

আপডেট সময় : ১০:৫৬:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা নিয়ে আবারও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, তিনি এটাই চান। এমনকি গাজার মানুষ নরকের ভেতর দিয়ে গেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প গাজা নিয়ে এই মন্তব্য করেন বৃহস্পতিবার সাংবাদকদের সঙ্গে কথা বলার সময়। তিনি বলেন, “আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওরা সত্যিই নরকের ভেতর দিয়ে গেছে।”

গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তিনি কি এখনও চান যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ন্ত্রণ করুক? এর জবাবে ট্রাম্প গাজা নিয়ে তার আগের অবস্থান স্পষ্ট না করলেও জানান, মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প গাজা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। এরপরও বিভিন্ন সময়ে তিনি এই প্রস্তাব সামনে আনেন।

যুদ্ধবিরতি ইস্যু

এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করি, আগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে।” তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজা এবং ইরান ইস্যুতে বৈঠক করবেন।

ট্রাম্প গাজা ইস্যুতে যুদ্ধবিরতির আশার কথা জানালেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে প্রতিদিন নতুন করে মানুষ নিহত হচ্ছে।

গাজায় মানবিক বিপর্যয়

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ এই হামলাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৫৭ হাজার ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের আগের নীতির কারণে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজার জনগণের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবিরতি জরুরি হলেও রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া এ সংকট দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যাবে। ট্রাম্প গাজা ইস্যুতে যেভাবে বারবার বক্তব্য দিচ্ছেন, তা আগামী মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রাম্প গাজা নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা মানবিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাস্তবে কীভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। গাজার মানুষ নিরাপদে থাকার অধিকার রাখে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই বিষয়ে একযোগে কাজ করা।