কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে মুক্তিপনে ছেড়ে দেয়ায় ৭ ডিবি পুলিশ বরখস্ত

প্রাইমটিভি বাংলা (অনলাইন)ঃ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে ডিবি(গায়েন্দা) পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ সাত  পুলিশকে প্রত্যাহার(সাসপেন্ড) করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃতরা হচ্ছে ১৪ এসআই সৈয়দ মাহমুদুল ইসলাম, এসআই ফরহাদ আলী, কনস্টবল মোঃ রাজিব আহমেদ,মোঃ সুমন, মোঃ আব্দুল জব্বার, মোঃ রাসেল ও মোঃমুজাম্মেল হোসেন। তারা সকলেই ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ (দক্ষিন) অফিসে কর্মরত ছিলেন।

অপহৃত ব্যক্তির নাম মোঃ সোহেল আহমেদ।পিতার নাম মোঃ আনোয়ার হোসেন মন্টু। সে বর্তমালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের নাজিরেরবাগ এলাকায় জনৈক হাসেম মিয়ার বাড়ির ৫ তলায় স্বপরিবারে বসবাস করেন।

গ্রামের বাড়ী বরিশালের ঝালকাঠি জেলার সদর থানার নেছারাবাদ এলাকায়।  সোহেল জানান, আগানগরের জিলা পরিষদ মার্কেট এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করি। গত ২৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সদরঘাট থেকে বাসায় ফেরার পথে আলম মার্কেট এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয় একদল ব্যাক্তি সিভিলে তাকে একটি সাদা মইক্রেবাসে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়াতে থাকে । এক পর্যাযে তারা আমার পরিবারের কাছে আমাকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবী করে,আমি বলি পুলিশকে বলি আমি গরীব মানুষ পরিবার এত টাকা কেথায় পাবো স্যার ।

রাত সাড়ে ১০টায় বছিলা ব্রীজ পার হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আমার স্ত্রী সাবিলা ছোট বোন রিজিয়া পারভীল ও ছেলের বউ তানিয়া সাড়ে চার লাখ টাকা দিলে তারা আমাদের সবাইকে গাড়িতে করেই কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন লুটেরচর এলাকায় নামিয়ে দেন। পরদিন আমরা সাবাই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার এর অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাই।

ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ জানুয়ারী বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা শুভাঢ্যা নাজিরেরবাগ এলাকার মোঃ সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে ঢাকা দক্ষিন ডিবি পুলিশের এস আই মাহমুদের একটি টিম।পরে মোটা অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে,  তবে এঘটনা আমাকে জানানো হয়নি। । এই ঘটনায় ভুক্তভূগি সোহেল ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিখ অভিযোগ করেন। ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্ত করে আমি এর প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ওইদিনই (৩০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার)এসআই সৈয়দ মাহমুদুল ইসলাম, এসআই ফরহাদ আলী, কনস্টবল মোঃ রাজিব আহমেদ,মোঃ সুমন, মোঃ আব্দুল জব্বার, মোঃ রাসেল ও মোঃমুজাম্মেল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযোগকারী সোহেলকে তদন্তের জন্য ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছিল। সে কোন ধরনের ব্যবসায়ী সেই বিষয়ে কোন সঠিক জবাব দিতে পারেনী। তবে কেনো কি কারনে তাকে আটক  করা হয়ে ছিলো তার কারনও বলতে পারেনী সোহেল। পুলিশ আটকের পর অর্থের বিনিময় সোহেলকে ছেড়ে ধেয়ার অভিযোগে সাত জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title