ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আজকের আবহাওয়ার খবর: ঢাকায় মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি সম্ভাবনা | ৫ জুলাই ২০২৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩৮ নিহত, আহত ৬২৫ চুয়াডাঙ্গা ট্রেন লাইনচ্যুত: জীবননগরে মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হিমাচল প্রদেশ বন্যা: ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে ৬৩ জনের মৃত্যু জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের লড়াই: ঠাকুরগাঁওয়ে এনসিপির পদযাত্রা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংকট নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সমিতি ট্রাম্প গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ: গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২২ মামলার আসামি জুলু গ্রেপ্তার জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির25 জুলাইয়ে এলপি গ্যাসের দাম কমবে না বাড়বে25?

ত্রান চাই, না হলে বিষ চাই

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ ১৯ বার পড়া হয়েছে
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ    করোনাভাইরাস সংক্রামণ মোকাবেলায় কর্মহীন মানুষেরা ত্রাণের দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মহাসড়কে নেমে এসে অবস্থান করে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী ত্রাণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা বাড়ি চলে যায়।
বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩ টা থেকে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্য গড্ডিমারীর মিলন বাজার এলাকায় লালমনিরহাটের-বুড়িমারী মহাসড়কে শতাধিক নারীপুরুষ এ অবস্থান নেয়।
জানাগেছে, বুধবার বিকেলে ত্রানের দাবিতে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মিলন বাজার এলাকার বুড়িমারী-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান করেন। এসময় তারা ‘ত্রান দে, না হলে বিষ দে’ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের হাতে লেখা ফেষ্টুন নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ত্রাণ কর্মকর্তা), গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ত্রাণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা বাড়ি চলে যায়।
এর আগে তারা অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে আমরা বাড়িতে বসে আছি। কাজকর্ম না থাকায় খাদ্যাভাবে মাঝে খুবই কষ্টে আছি। আমাদের খবর কেউ নেয় না। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে গেলে তারা ত্রাণ দেবার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ দেয়া হবে। এভাবে একমাস পেরিয়ে গেলেও আজও আমাদের ভাগ্যে ত্রাণ জুটেনি। আমরা আর কতোদিন খাবারের অভাবে থাকব।
এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছি। সরকারের পাশাপাশি আমি নিজেই ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও কয়েকশত কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। কিন্তু যারা এখনও ত্রাণ পাননি তাদেরকেও ত্রাণ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, আমারা এই এলাকার মানুষদের জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। আমি নিজ অর্থায়নে ব্যাক্তিগত ভাবে ত্রান বিতরণ করেছি। আজকে যারা এসব করেছে আমি এদের মাঝে অনেককেই ত্রাণ ও নগদ অর্থ সহায়তা করেছি। এতকিছু করার পরও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিত এই কাজ করেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যারা এখনও ত্রাণ পায়নি তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। তাদের ত্রান দেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এ পর্যাপ্তন্ত হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৪৭ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৯ লক্ষ ১২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২২ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ এসেছে। দুই একদিনের মধ্যে তা বন্টন করে দেয়া হবে। গড্ডিমারী ইউনিয়নের বরাদ্দের বিষয়ে ঐ কর্মকর্তা বলেন, সেখানে এযাবত প্রায় সাড়ে ১১ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩৮ হাজার ৮১৫ টাকা আলু ক্রয় বাবদ প্রদান করা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ত্রান চাই, না হলে বিষ চাই

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ    করোনাভাইরাস সংক্রামণ মোকাবেলায় কর্মহীন মানুষেরা ত্রাণের দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মহাসড়কে নেমে এসে অবস্থান করে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী ত্রাণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা বাড়ি চলে যায়।
বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩ টা থেকে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্য গড্ডিমারীর মিলন বাজার এলাকায় লালমনিরহাটের-বুড়িমারী মহাসড়কে শতাধিক নারীপুরুষ এ অবস্থান নেয়।
জানাগেছে, বুধবার বিকেলে ত্রানের দাবিতে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মিলন বাজার এলাকার বুড়িমারী-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান করেন। এসময় তারা ‘ত্রান দে, না হলে বিষ দে’ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের হাতে লেখা ফেষ্টুন নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ত্রাণ কর্মকর্তা), গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ত্রাণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা বাড়ি চলে যায়।
এর আগে তারা অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে আমরা বাড়িতে বসে আছি। কাজকর্ম না থাকায় খাদ্যাভাবে মাঝে খুবই কষ্টে আছি। আমাদের খবর কেউ নেয় না। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে গেলে তারা ত্রাণ দেবার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ দেয়া হবে। এভাবে একমাস পেরিয়ে গেলেও আজও আমাদের ভাগ্যে ত্রাণ জুটেনি। আমরা আর কতোদিন খাবারের অভাবে থাকব।
এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছি। সরকারের পাশাপাশি আমি নিজেই ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও কয়েকশত কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। কিন্তু যারা এখনও ত্রাণ পাননি তাদেরকেও ত্রাণ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, আমারা এই এলাকার মানুষদের জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। আমি নিজ অর্থায়নে ব্যাক্তিগত ভাবে ত্রান বিতরণ করেছি। আজকে যারা এসব করেছে আমি এদের মাঝে অনেককেই ত্রাণ ও নগদ অর্থ সহায়তা করেছি। এতকিছু করার পরও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিত এই কাজ করেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যারা এখনও ত্রাণ পায়নি তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। তাদের ত্রান দেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এ পর্যাপ্তন্ত হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৪৭ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৯ লক্ষ ১২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২২ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ এসেছে। দুই একদিনের মধ্যে তা বন্টন করে দেয়া হবে। গড্ডিমারী ইউনিয়নের বরাদ্দের বিষয়ে ঐ কর্মকর্তা বলেন, সেখানে এযাবত প্রায় সাড়ে ১১ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩৮ হাজার ৮১৫ টাকা আলু ক্রয় বাবদ প্রদান করা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।