ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

পদ্মার ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তীরবর্তী মানুষ, বাড়ছে নদীর পানি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

filter: 0; fileterIntensity: -0.01; filterMask: 0; captureOrientation: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: night;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 8;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;HdrStatus: auto;albedo: ;confidence: ;motionLevel: 0;weatherinfo: null;temperature: 44;

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটে পদ্মার তীরবর্তী চরাঞ্চলবাসীর।
বছরের এই সময়টাতে পদ্মা নদীর পানি বাড়ে, আর সেই সঙ্গে বাড়ে চিরচেনা আতঙ্ক—পদ্মার ভাঙন
বছরের পর বছর ধরে নদীর করালগ্রাসে হারিয়ে গেছে বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও বসতভিটা। নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন বর্তমানে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং আকোটের চর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দুর্দশা

ভাঙনের মুখে একাধিক গ্রাম

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুরুদ্দীন সরদার কান্দি, আব্দুল হামিদ জঙ্গির কান্দি, আলেফ সরদার কান্দি ও জব্বার শিকদার কান্দি—এই গ্রামগুলো ভাঙনের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়াও আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালী, ছলেনামাআকোটের চর গুচ্ছ গ্রামে প্রায় ১১০টি পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, পদ্মার স্রোতের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে প্রতিদিনই। মানুষজন তাদের বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

চরবাসীর আতঙ্কের কথা

আকোটের চর গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন,

“বর্ষা এলেই আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পানি বাড়লেই মনে হয়, এবার বুঝি ঘরটা চলে যাবে। সরকার যে ঘর দিয়েছে, সেটাই এখন শেষ সম্বল। এটাও যদি চলে যায়, তাহলে আর কিছু থাকবে না।”

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি

আকোটের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন,

“নদীভাঙন এখন আর হঠাৎ কোনো দুর্যোগ নয়, এটা এখন বার্ষিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে।
আমরা বহুবার পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি, তারা এলাকাও পরিদর্শন করেছেন।
আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তুতি

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সামছুল হাসান বলেন,

“পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের ঝুঁকিও বাড়ছে। আমরা ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি করছি এবং পরিকল্পনা নিচ্ছি।
খুব শিগগিরই টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রস্তাবনা ও দাবি

স্থানীয়দের দাবি, ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা, ব্লক বসানো ও নদীশাসনের স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। না হলে প্রতি বছর শত শত পরিবার ঘরহারা হবে, আর চরাঞ্চলের কৃষি ও জীবনধারা হুমকির মুখে পড়বে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

পদ্মার ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তীরবর্তী মানুষ, বাড়ছে নদীর পানি

আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটে পদ্মার তীরবর্তী চরাঞ্চলবাসীর।
বছরের এই সময়টাতে পদ্মা নদীর পানি বাড়ে, আর সেই সঙ্গে বাড়ে চিরচেনা আতঙ্ক—পদ্মার ভাঙন
বছরের পর বছর ধরে নদীর করালগ্রাসে হারিয়ে গেছে বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও বসতভিটা। নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন বর্তমানে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং আকোটের চর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দুর্দশা

ভাঙনের মুখে একাধিক গ্রাম

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুরুদ্দীন সরদার কান্দি, আব্দুল হামিদ জঙ্গির কান্দি, আলেফ সরদার কান্দি ও জব্বার শিকদার কান্দি—এই গ্রামগুলো ভাঙনের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়াও আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালী, ছলেনামাআকোটের চর গুচ্ছ গ্রামে প্রায় ১১০টি পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, পদ্মার স্রোতের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে প্রতিদিনই। মানুষজন তাদের বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

চরবাসীর আতঙ্কের কথা

আকোটের চর গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন,

“বর্ষা এলেই আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পানি বাড়লেই মনে হয়, এবার বুঝি ঘরটা চলে যাবে। সরকার যে ঘর দিয়েছে, সেটাই এখন শেষ সম্বল। এটাও যদি চলে যায়, তাহলে আর কিছু থাকবে না।”

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি

আকোটের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন,

“নদীভাঙন এখন আর হঠাৎ কোনো দুর্যোগ নয়, এটা এখন বার্ষিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে।
আমরা বহুবার পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি, তারা এলাকাও পরিদর্শন করেছেন।
আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তুতি

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সামছুল হাসান বলেন,

“পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের ঝুঁকিও বাড়ছে। আমরা ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি করছি এবং পরিকল্পনা নিচ্ছি।
খুব শিগগিরই টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রস্তাবনা ও দাবি

স্থানীয়দের দাবি, ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা, ব্লক বসানো ও নদীশাসনের স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। না হলে প্রতি বছর শত শত পরিবার ঘরহারা হবে, আর চরাঞ্চলের কৃষি ও জীবনধারা হুমকির মুখে পড়বে।