ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় টিআর, কাবিখা, ৪০ দিনের কর্মসূচি ও উন্নয়ন তহবিলের প্রকল্পে চলমান দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কিছু কথিত সাংবাদিকের কর্মকাণ্ড। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে দুর্নীতির পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দুই ব্যক্তি—এম এ সামাদ ও নাজমুল হুদা রিপন।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের কথিত “গণঅভ্যুত্থানের” পর এই দুই ব্যক্তি হঠাৎ করে সাংবাদিক পরিচয়ে সামনে আসেন। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে তারা হরিণাকুন্ডু প্রেসক্লাব দখল করেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আঁতাত করে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন।

এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি-র সভাপতি সাহিদুল এনাম পল্লব হরিণাকুন্ডুর কয়েকটি প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এর পরদিনই একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, হ‌রিনাকু‌ন্ডের প্রেসক্লা‌বের সভাপ‌তি ও সাধারণ সম্পাদক প‌রিচ‌লে সংবাদ সংগ্রহ কর‌তে আসা সাংবা‌দিক পল্লব‌কে হুম‌কি দি‌তে শোনা যায়।

তারা বলেন, “হরিণাকুন্ডুর সব প্রকল্প তারাই দেখভাল করেন, সাংবাদিকতা করতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে।”

সাধারণ সম্পাদক রিপন আরও দাবি করেন, তার পরিচয় জানতে হলে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ ধরনের কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না, দায়ও নেবে না। সাংবাদিকদের হুমকি বা বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। নির্ভয়ে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করুন।”

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় টিআর, কাবিখা, ৪০ দিনের কর্মসূচি ও উন্নয়ন তহবিলের প্রকল্পে চলমান দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কিছু কথিত সাংবাদিকের কর্মকাণ্ড। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে দুর্নীতির পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দুই ব্যক্তি—এম এ সামাদ ও নাজমুল হুদা রিপন।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের কথিত “গণঅভ্যুত্থানের” পর এই দুই ব্যক্তি হঠাৎ করে সাংবাদিক পরিচয়ে সামনে আসেন। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে তারা হরিণাকুন্ডু প্রেসক্লাব দখল করেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আঁতাত করে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন।

এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি-র সভাপতি সাহিদুল এনাম পল্লব হরিণাকুন্ডুর কয়েকটি প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এর পরদিনই একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, হ‌রিনাকু‌ন্ডের প্রেসক্লা‌বের সভাপ‌তি ও সাধারণ সম্পাদক প‌রিচ‌লে সংবাদ সংগ্রহ কর‌তে আসা সাংবা‌দিক পল্লব‌কে হুম‌কি দি‌তে শোনা যায়।

তারা বলেন, “হরিণাকুন্ডুর সব প্রকল্প তারাই দেখভাল করেন, সাংবাদিকতা করতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে।”

সাধারণ সম্পাদক রিপন আরও দাবি করেন, তার পরিচয় জানতে হলে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ ধরনের কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না, দায়ও নেবে না। সাংবাদিকদের হুমকি বা বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। নির্ভয়ে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করুন।”