ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

নতুন বাংলাদেশ দিবস পুনর্বিবেচনা করছে সরকার আসিফ মাহমুদ25

নতুন বাংলাদেশ দিবস পুনর্বিবেচনা করছে সরকার আসিফ মাহমুদ25

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, নানান আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এখন দিবসগুলোর বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার চিন্তা করছে। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, দিবসসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’, ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। গত বুধবার এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তবে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ৮ আগস্টকে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র শীর্ষ নেতাসহ অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন।

গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্রে ৫ আগস্ট, ৮ আগস্ট ও ১৬ জুলাই- এই তিনটি দিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরিপত্রে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রতি বছর যথাযথভাবে এসব দিবস উদ্‌যাপন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই ঘোষণার পরপরই এনসিপির নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট, ৮ আগস্ট নয়। সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও একই দিনে ফেসবুকে লেখেন, ৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি, বরং ওই দিন থেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি আরো লেখেন, ৫ আগস্টই ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃত হওয়া উচিত।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন বাংলাদেশ দিবস পুনর্বিবেচনা করছে সরকার আসিফ মাহমুদ25

নতুন বাংলাদেশ দিবস পুনর্বিবেচনা করছে সরকার আসিফ মাহমুদ25

আপডেট সময় : ০৪:০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

অনলাইন ডেস্কঃ অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, নানান আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এখন দিবসগুলোর বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার চিন্তা করছে। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, দিবসসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’, ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। গত বুধবার এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তবে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ৮ আগস্টকে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র শীর্ষ নেতাসহ অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন।

গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্রে ৫ আগস্ট, ৮ আগস্ট ও ১৬ জুলাই- এই তিনটি দিনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরিপত্রে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রতি বছর যথাযথভাবে এসব দিবস উদ্‌যাপন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই ঘোষণার পরপরই এনসিপির নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট, ৮ আগস্ট নয়। সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও একই দিনে ফেসবুকে লেখেন, ৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি, বরং ওই দিন থেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি আরো লেখেন, ৫ আগস্টই ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃত হওয়া উচিত।