ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে প্রশাসনের জোরালো অভিযান তাল তলা ক্যাফে আগুন: চার বন্ধুর স্বপ্ন পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা ডিএসসিসি কীটনাশক ছিটানো দ্বিগুণ করলো – মশকনিধনে নতুন উদ্যোগ দৌলতপুর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আখতারুজ্জামান সজলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মিলনমেলা বরিশাল বিভাগে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে সর্বোচ্চ সংখ্যা পাসপোর্ট দিবো না: মানবতাবিরোধী ও পলাতকদের পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ উজবেকিস্তান বিশ্বকাপ ২০২৬: খেলোয়াড়দের প্রেসিডেন্টের উপহার গাড়ি বিএসএফের পুশ-ইন: সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জন অনুপ্রবেশ কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে নারী নির্যাতন, মামলা ও গ্রেপ্তার – থানায় গ্রামবাসীর ঘেরাও ড. ইউনূসের সঙ্গে বিরোধে নয়, সমঝোতার পরামর্শ খালেদা জিয়ার

নির্বাচন আগস্ট-অক্টোবরেই ভোট হতে পারে, ডিসেম্বরে কেন যেতে হবে : আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন রাখেন, নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন? আমি তো দেখছি ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের জন্য তিন মাস সময় দরকার। আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নির্বাচন হতে পারে।

রোববার (১৮ মে) রাজধানীর বনানীতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচার বিদায় করেছে। এর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার এমনভাবে কাজ করছে, যেন তারা একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ এটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, করিডোর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়? এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র-সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আমীর খসরু।

তিনি বলেন, আদালতের আদেশ মানা না হলে, আইনের শাসনের প্রশ্ন চলে আসে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার স্বার্থে কাজ করছে, সেটিও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার বলে সংস্কার হবে, ঐকমত্য হবে। কিন্তু সেই ঐকমত্য কোথায় তৈরি হচ্ছে? কাদের সঙ্গে এই মতৈক্য?

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিতে চাচ্ছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই।

আমীর খসরু বলেন, আগামীতে যত নির্বাচন হবে, তা যেন সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। এটি যেন একটি রুটিনে পরিণত হয়। সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই মাস আগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি। লিখিতও দিয়েছি। অর্থাৎ, আইনি প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সরকার নাটক কেন করল, মানুষের মনে এমন প্রশ্ন রয়েছে।

 

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন আগস্ট-অক্টোবরেই ভোট হতে পারে, ডিসেম্বরে কেন যেতে হবে : আমীর খসরু

আপডেট সময় : ০২:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন রাখেন, নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন? আমি তো দেখছি ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের জন্য তিন মাস সময় দরকার। আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নির্বাচন হতে পারে।

রোববার (১৮ মে) রাজধানীর বনানীতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচার বিদায় করেছে। এর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার এমনভাবে কাজ করছে, যেন তারা একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ এটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, করিডোর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়? এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র-সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আমীর খসরু।

তিনি বলেন, আদালতের আদেশ মানা না হলে, আইনের শাসনের প্রশ্ন চলে আসে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার স্বার্থে কাজ করছে, সেটিও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার বলে সংস্কার হবে, ঐকমত্য হবে। কিন্তু সেই ঐকমত্য কোথায় তৈরি হচ্ছে? কাদের সঙ্গে এই মতৈক্য?

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিতে চাচ্ছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই।

আমীর খসরু বলেন, আগামীতে যত নির্বাচন হবে, তা যেন সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। এটি যেন একটি রুটিনে পরিণত হয়। সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই মাস আগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি। লিখিতও দিয়েছি। অর্থাৎ, আইনি প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সরকার নাটক কেন করল, মানুষের মনে এমন প্রশ্ন রয়েছে।