ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25

ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধগুলো মে থেকে জুন মাসের ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে লোকালয়ে লোনাপানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- উপজেলা ছনুয়া, শেখারখীল, সরলীয়া বাজার, বাংলা বাজার, পূর্ব বড়ঘোনা, মনকিচর, সরল, খানখানাবাদ, বাহারছাড়া, পুকুরিয়া, গণ্ডামারা এলাকায় ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের পানি ঢুকে এলাকায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে।

এলাকাবাসীর দাবি, ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের লোনাপানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ফসল ও মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, মে ও জুন পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে। শেখেরখীল বাজারের উত্তর পাশে ৩৫০ মিটার, সরকার বাজারের দক্ষিণ পাশে ৩০০ মিটার, সরকার বাজারের পাশে ২০০ মিটার, বাংলা বাজারের উত্তর পাশে চাম্বল এলাকায় ১০০ মিটার, গোদারপাড় চাম্বল এলাকায় ১০০ মিটার, আনন্দবাজার ছনুয়া এলাকায় ৭০০ মিটার, মধুখালী ২নং ওয়ার্ড ছনুয়া এলাকায় ৪৫০ মিটার, রেজাউল করিম ডক এলাকায় ১ কিলোমিটার, ছনুয়া ৭নং ওয়ার্ডে ১০০ মিটার, হাবাখালী ছনুয়া এলাকায় ১৫০ মিটার, সোনাইছড়ি ব্রিজের পাশে ১০০ মিটার, বরইতলী কুপ কাথারিয়া এলাকায় ১৫০ মিটার, সরল বাজার পশ্চিম পাশে ১ কিলোমিটার, সরল বাজার এলাকায় ১ কিলোমিটার ৭০০ মিটার, জালিয়াঘাটা শীলকুপ এলাকায় ১০০ মিটার, পশ্চিম মনকিচর নয়াঘোনা এলাকায় ৭০০ মিটার, মনকিচর দক্ষিণপাড়া শীলকুপ ৩০০ মিটার, হামিদটেক পূর্বঘোনা গণ্ডামারা ৩০০ মিটার, খাটাখালী বাজারের পশ্চিম পাশে গণ্ডামারা ৩০০ মিটার, বাহারছাড়া ৭০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুকুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম জানান, ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে পুকুরিয়া তেচ্ছিপাড়া শঙ্খ নদীর ভাঙনে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, ভারি বর্ষণ জোয়ারের পানিতে খানখানাবাদ এলাকায় কয়েকটি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এলাকার কৃষি জমি ও মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম পাল জানান, মে থেকে জুন পর্যন্ত ভারি বর্ষণ উপকূলের কিছু কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। আমরা ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রণয়ন করেছি। তালিকাটি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25

ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25

আপডেট সময় : ০৭:০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধগুলো মে থেকে জুন মাসের ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে লোকালয়ে লোনাপানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- উপজেলা ছনুয়া, শেখারখীল, সরলীয়া বাজার, বাংলা বাজার, পূর্ব বড়ঘোনা, মনকিচর, সরল, খানখানাবাদ, বাহারছাড়া, পুকুরিয়া, গণ্ডামারা এলাকায় ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের পানি ঢুকে এলাকায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে।

এলাকাবাসীর দাবি, ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের লোনাপানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ফসল ও মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, মে ও জুন পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও সমুদ্রের জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে। শেখেরখীল বাজারের উত্তর পাশে ৩৫০ মিটার, সরকার বাজারের দক্ষিণ পাশে ৩০০ মিটার, সরকার বাজারের পাশে ২০০ মিটার, বাংলা বাজারের উত্তর পাশে চাম্বল এলাকায় ১০০ মিটার, গোদারপাড় চাম্বল এলাকায় ১০০ মিটার, আনন্দবাজার ছনুয়া এলাকায় ৭০০ মিটার, মধুখালী ২নং ওয়ার্ড ছনুয়া এলাকায় ৪৫০ মিটার, রেজাউল করিম ডক এলাকায় ১ কিলোমিটার, ছনুয়া ৭নং ওয়ার্ডে ১০০ মিটার, হাবাখালী ছনুয়া এলাকায় ১৫০ মিটার, সোনাইছড়ি ব্রিজের পাশে ১০০ মিটার, বরইতলী কুপ কাথারিয়া এলাকায় ১৫০ মিটার, সরল বাজার পশ্চিম পাশে ১ কিলোমিটার, সরল বাজার এলাকায় ১ কিলোমিটার ৭০০ মিটার, জালিয়াঘাটা শীলকুপ এলাকায় ১০০ মিটার, পশ্চিম মনকিচর নয়াঘোনা এলাকায় ৭০০ মিটার, মনকিচর দক্ষিণপাড়া শীলকুপ ৩০০ মিটার, হামিদটেক পূর্বঘোনা গণ্ডামারা ৩০০ মিটার, খাটাখালী বাজারের পশ্চিম পাশে গণ্ডামারা ৩০০ মিটার, বাহারছাড়া ৭০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুকুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম জানান, ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে পুকুরিয়া তেচ্ছিপাড়া শঙ্খ নদীর ভাঙনে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, ভারি বর্ষণ জোয়ারের পানিতে খানখানাবাদ এলাকায় কয়েকটি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এলাকার কৃষি জমি ও মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম পাল জানান, মে থেকে জুন পর্যন্ত ভারি বর্ষণ উপকূলের কিছু কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। আমরা ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রণয়ন করেছি। তালিকাটি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে।