ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আজ ৭ জেলায় নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি25 ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ25 সদরপুরে উন্মুক্ত লটারিতে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব ডিলার নির্বাচিত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত: অবরুদ্ধ মানুষের আহাজারি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হয় না, জানাল মার্কিন দূতাবাস SSC রেজাল্ট ২০২৫: ১০ জুলাই সম্ভাব্য ফল প্রকাশের তারিখ ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গ্যাস বন্ধ থাকবে সোমবার, জানিয়েছে তিতাস গ্যাস গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত: গণহত্যার ধারাবাহিকতা চলছে ডেঙ্গু আপডেট বাংলাদেশ: একদিনে ৩১৭ জন আক্রান্ত, নেই নতুন মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক: বাণিজ্য ও ভূরাজনীতি, গণতন্ত্র নয়

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রে সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এ কাজে সহায়তা করা। যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান চায় উল্লেখ করে স্টিফেন বলেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব।’ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে রয়েছে। এটি আমাদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা। সমস্যাটি মিয়ানমার তৈরি করেছে এবং আমরা তাদের সঙ্গে সংলাপ করছি। তাদের উচিত, তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু একটি সামাজিক সমস্যা এবং মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত নাগরিক কক্সবাজারে আশ্রয় শিবির গুলোতে বাস করছে। কিছু মহল অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হতে তাদের ভুল পথে চালিত করতে পারে। সুতরাং, আমরা অবিলম্বে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করাতে চাই।’
শেখ হাসিনা ও স্টিফেন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে থাকা সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন। এ বিষয়ে স্টিফেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। তিনি আরও বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সেবা আবার চালু করা হবে।
স্টিফেন বলেন, তিনি এরই মধ্যে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার কাছাকাছি এসে গেছি এবং আশা করি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে এ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরি করছে এবং আগামী বছর থেকে ব্যাপক হারে টিকাদান শুরু হবে।
স্টিফেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তার সরকার দেশজুড়ে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। শেখ হাসিনা মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে তার সরকারের পদক্ষেপগুলোও সংক্ষেপে তুলে ধরেন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রে সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এ কাজে সহায়তা করা। যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে সরকারপ্রধান এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান চায় উল্লেখ করে স্টিফেন বলেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব।’ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে রয়েছে। এটি আমাদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা। সমস্যাটি মিয়ানমার তৈরি করেছে এবং আমরা তাদের সঙ্গে সংলাপ করছি। তাদের উচিত, তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু একটি সামাজিক সমস্যা এবং মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত নাগরিক কক্সবাজারে আশ্রয় শিবির গুলোতে বাস করছে। কিছু মহল অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হতে তাদের ভুল পথে চালিত করতে পারে। সুতরাং, আমরা অবিলম্বে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করাতে চাই।’
শেখ হাসিনা ও স্টিফেন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে থাকা সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন। এ বিষয়ে স্টিফেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। তিনি আরও বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সেবা আবার চালু করা হবে।
স্টিফেন বলেন, তিনি এরই মধ্যে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার কাছাকাছি এসে গেছি এবং আশা করি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে এ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরি করছে এবং আগামী বছর থেকে ব্যাপক হারে টিকাদান শুরু হবে।
স্টিফেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তার সরকার দেশজুড়ে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। শেখ হাসিনা মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে তার সরকারের পদক্ষেপগুলোও সংক্ষেপে তুলে ধরেন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।