খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সরকারি অনুমোদন চেয়ে আবেদন, সিদ্ধান্ত হচ্ছে না আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আজ কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী এর আগে সাংবাদিকদের কাছে এমন আভাস দিয়েছিলেন যে আবেদনটি বৃহস্পতিবার বিকেলে তার কাছে উত্থাপন করা হলে দ্রুতই এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত দেয়া হতে পারে।

আইনমন্ত্রী এখন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব না হলেও ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরকার খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেয়া সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে তার ভাইয়ের করা আবেদনটি রাত ১১টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে আসে।

‘সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা চারটায় আবেদনটি আমার কাছে এসেছে। আমি এখনই ফাইলটা দেখবো এবং যথাবিহিত ও যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত দেয়া যায়, তত দ্রুত দেয়ার চেষ্টা করবো।’

আইনমন্ত্রী বলেন, যে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া কারামুক্ত আছেন, তাতে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও এখন শর্ত শিথিলের সুযোগ আছে কি-না, তা দেখা হচ্ছে।

তবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য কোন দেশে নেয়া হবে সে বিষয়ে আবেদনে কোনো তথ্য দেয়া নেই বলে জানান আনিসুল হক।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে সাক্ষাৎ করে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন, যাতে বলা হয়েছিল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে চায় পরিবার।

শামীম ইস্কান্দার বলেন, ডাক্তাররা তার বোন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয়ার পর তারা সরকারের কাছে এই আবেদন করেছেন।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এই আবেদনটিকে সরকার ইতিবাচকভাবেই দেখছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছিলেন। কিন্তু গত বছরের মার্চে সরকার তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় দুটো শর্তে – তিনি বাড়িতে অবস্থান করবেন এবং দেশেই চিকিৎসা নেবেন।

কিন্তু গত মাসে জানা যায় যে খালেদা জিয়া করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন। এরপর কিছুদিন বাড়িতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হলেও এখন তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় চিকিৎসা পাচ্ছেন।

তার দল বিএনপি বলছে, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title