খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র হস্তান্তর করেছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে প্রায় ১১ মাস চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় খালেদা জিয়ার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির শর্ত দুটি হলো- তিনি নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। পরে দ্বিতীয় দফায় তার সাজার স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় মুক্তির ক্ষেত্রেও আগের শর্তগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে।

বর্তমানে খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের বাসা ‘ফিরোজা’য় আছেন। তার চিকিৎসার সবকিছু লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তত্ত্বাবধান করছেন। তার সঙ্গে নার্সসহ কয়েকজন অবস্থান করছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title