ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াবে না, ধারণা ৬০ শতাংশ মার্কিনির25 পাঁচবিবিতে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন25 আমার ফেলে আসা প্রতিটি সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ – জয়া25 মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস

চলতি নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে:সিপিবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩ ১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেছের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার ( ১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জনসভা থেকে এ কথা বলা হয়।

সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রমিকনেতা মাহবুব আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

জনসভায় সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, চলতি নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে। আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রধান দাবি। এই মুহূর্তে এর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই জনগণের দাবিকে মেনে নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

হামলা-মামলা দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না। এই মুহূর্তে দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে, সেই সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করে বলেন, আমেরিকা, ভারতের কথায় নির্বাচন হবে, নাকি দেশের জনগণের কথায় নির্বাচন হবে? জনমত উপেক্ষা করার পরিণতি ভালো হবে না।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিনা ভোটে ঘোষিত এ অগণতান্ত্রিক সরকার বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শাসক গোষ্ঠী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে, এ সরকারসহ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরেপক্ষ নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, যে নির্বাচন ব্যবস্থা, টাকার খেলা, পেশীশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজির খেলা সরকারগুলো বহাল রেখেছে তাতে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটার কোনো সুযোগ নাই। এ ভোটের নামে প্রহসন, গদি পরিবর্তন জনগণের জীবন মানের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না। কাজেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই সরকার সাধারণ জনগণ, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। উপরন্তু একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, পুঁজিবাদী লুটপাটতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদ দেশ ও জাতির শত্রু। এদের ছাড় দিয়ে গণতন্ত্রকে স্থায়ী করা যাবে না। এদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে হবে।

জনসভা থেকে চলতি মাসে জেলা উপজেলায় জনসভা এবং সেপ্টেম্বর মাসে ভোট ও ভাতের দাবিতে গণজাগরণ অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চলতি নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে:সিপিবি

আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেছের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার ( ১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জনসভা থেকে এ কথা বলা হয়।

সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রমিকনেতা মাহবুব আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

জনসভায় সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, চলতি নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে। আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রধান দাবি। এই মুহূর্তে এর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই জনগণের দাবিকে মেনে নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

হামলা-মামলা দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না। এই মুহূর্তে দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে, সেই সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করে বলেন, আমেরিকা, ভারতের কথায় নির্বাচন হবে, নাকি দেশের জনগণের কথায় নির্বাচন হবে? জনমত উপেক্ষা করার পরিণতি ভালো হবে না।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিনা ভোটে ঘোষিত এ অগণতান্ত্রিক সরকার বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শাসক গোষ্ঠী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে, এ সরকারসহ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরেপক্ষ নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, যে নির্বাচন ব্যবস্থা, টাকার খেলা, পেশীশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজির খেলা সরকারগুলো বহাল রেখেছে তাতে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটার কোনো সুযোগ নাই। এ ভোটের নামে প্রহসন, গদি পরিবর্তন জনগণের জীবন মানের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না। কাজেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই সরকার সাধারণ জনগণ, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। উপরন্তু একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, পুঁজিবাদী লুটপাটতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদ দেশ ও জাতির শত্রু। এদের ছাড় দিয়ে গণতন্ত্রকে স্থায়ী করা যাবে না। এদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে হবে।

জনসভা থেকে চলতি মাসে জেলা উপজেলায় জনসভা এবং সেপ্টেম্বর মাসে ভোট ও ভাতের দাবিতে গণজাগরণ অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।