নাগরপুরে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার, হত্যাকারী গ্রেফতার

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পাছআররা গ্রামের বাবুল মিয়ার আখ খেতে অর্ধ গলিত ১ অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। লাশটি সনাক্ত না হওয়ায় ক্লু লেইস মামলায় এ দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ।
পরে, ময়মনসিংহ জেলার সিআইডি পুলিশের বিশেষ দলের এর সহায়তায় লাশের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে তার ভোটার আইডির তথ্য পায় নাগরপুর থানা পুলিশ। মহিলার প্রাপ্ত ঠিকানা অনুযায়ী প্রাথমিক সনাক্তকৃত মহিলা আসমা বেগম (৩৮) এর উপজেলার ধুবড়িয়া নিবাসী পিতা কাঞ্চু মিয়া ও ছেলে আকাশ এর সাথে যোগাযোগ করলে, তারা আসমাকে সনাক্ত করে। ২২ সেপ্টেম্বর আকাশ বাদী হয়ে ৮ নং ক্রমিকে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় নাগরপুর থানায় ১টি মামলা দায়ের করে। নাগরপুর থানা পুলিশের সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নজরে আসে আসমা ও স্বামী আবুল কালামের সাথে ঘটে যাওয়া অনেক অজানা ঘটনার কথা। এসব সূত্রধরেই বেরিয়ে আসতে থাকে আরো তথ্য।
্তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশের একটি চৌকস দল এসআই মো. আলমগীর হোসেনের নেত্রীত্বে এএসআই মো. ফারুক হোসেন, কনষ্টেবল মো. জাহিদুল, মো. ইদ্রিস আলী গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পূর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে ঘাতক স্বামী কালাম (৪২) কে। কালাম উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের বালিয়া বন্দর গ্রামের সন্তোষ এর ছেলে।
পরে, কালামকে নাগরপুর থানায় নিয়ে আসা হলে, জিজ্ঞেসাবাদে কালাম নিজে তার স্ত্রী আসমাকে বাবুলের আখ খেতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার, সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্টেট নরিন মাহবুবা এর বিজ্ঞ আদালতে, কালাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। আসমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় ঘাতক স্বামী।

এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, ময়মনসিংহ জেলার সিআইডি পুলিশের একটি বিশেষ দলের এর সহায়তায় লাশের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে আমরা ভোটার আইডির তথ্য পাই। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমাদের পুলিশ সদস্যরা নূন্যতম সময়ের মধ্যে অজ্ঞাত মহিলাটিকে সনাক্ত করে, মূল হত্যাকারী স্বামী কালামকে ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পূর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হলে, কালাম বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। আসমাকে আখ খেতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। কালাম, জনৈক বাবুলের আখ খেতে একা এই হত্যাকান্ডটি একই ঘটিছে বলে জানিয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title