ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও ইসরাইলে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক তদন্ত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদ (ইউএনএইচআরসি) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও ইসরাইলে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের অনুরোধে এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৪টি, বিপক্ষে ৯টি। ১৪ সদস্য ভোট দানে বিরত থাকে।
জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার মিচেল বাচলেট বৃহস্পতিবার বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা যুদ্ধাপরাধ হয়ে থাকতে পারে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার সাম্প্রতিক সঙ্ঘর্ষে লঙ্ঘন নিয় একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনার সময় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে যেসব সিদ্ধান্ত হয় তার অন্যতম হলো ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের জন্য একটি আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন।
কমিশন সকল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও মানবাধিকারের সব ধরনের লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করবে।

প্রস্তাবে পূর্ব জেরুসালেমসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজনকে সহায়তা দিতে সকল রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অন্যান্য দাতার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এতে ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজন মেটানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মানবিক সহায়তা বাধাহীনভাবে সরবরাহ করার সুযোগ দেয়ার জন্য দখলদার শক্তি ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

যেসব দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়, তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, জার্মানি, মালাবি, যুক্তরাজ্য, উরুগুয়ে।

জেনেভায় জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি ইব্রাহিম খ্রাইশি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সুবিচার করার লক্ষ্যে এটি একটি ভালো পদক্ষেপ।

অধিবেশনে ভেনেজুয়েলার প্রতিনিধি ইসরাইলের তীব্র নিন্দা করে মানবতার বিরুদ্ধে দেশটির করা অপরাধকে গণহত্যার সমতুল্য বলে অভিহিত করেন।

জেনেভায় জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত অধিবেশনের পর বলেন, হামাসকে তার যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে না, এই তদন্তে তাদের ফোকাস করা হবে না।

ভোটাভুটির পর জেনেভায় মার্কিন মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রস্তাবের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুঃখিত। এই পদক্ষেপ শান্তিতে ভূমিকা রাখবে না।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ ও অন্যান্য

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title