ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বোরকা পরে পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা খেলেন মসজিদের ইমাম কুমারখালীতে কর ফাঁকি দেওয়ায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা চাকরি ও চেম্বার একসাথে, নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিকে তানভীরের আলোচিত রমরমা বাণিজ্য!25 আক্কেলপুর থানার (ওসি) ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে ওসি মাসুদ রানার পদাবনতি, এখন এসআই25 প্রধানমন্ত্রী পদে ১০ বছরের বেশি নয়—সিদ্ধান্তে একমত বিএনপি25 গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ বিশ্বের বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহর25 ‘উত্তরণ’ নাটকের ৩৩তম মঞ্চায়ন বৃহস্পতিবার, বিবেকানন্দ থিয়েটারের বিশেষ আয়োজন দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার এক অভিষেক এনবিআরের সাড়ে ১৬ হাজার অভিযান, রাজস্ব ফাঁকি ৬২৪৬ কোটি টাকা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩১ ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

সৈয়দপুরে পুকুর খনন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলো এসিল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১ ১১ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মাস্টারের ছেলে তার পুকুর খনন করতে এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। গভীর করে খনন করায় আশেপাশের ফসলী জমির ক্ষতির আশঙ্কায় মালিকরা নিষেধ করলেও কর্ণপাত না করায় তারা বাধ্য হয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানান। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রমিজ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সত্যতা পান।

পরপ তিনি তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এবং এক্সাভেটর মেশিন মালিক সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়ার মোঃ আজগরের ছেলে শাহিন কে ৫০ হাজার জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রমিজ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত গভীর করে পুকুর খনন করায় বালু ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা অনুযায়ী এক্সাভেটর মেশিন ব্যবহারকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ অভিযান পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর থানার এসআই আনছার আলী, আবু সাইদ ও লিক্সনসহ সংবাদকর্মীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সর্বত্রই এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করাসহ ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। আর এসব মাটি নেয়া হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে ট্রাক্টর ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক সমিতি নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিশেষ করে সভাপতি ওবায়দুল নিজে চুক্তি করে জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে নিয়ে ইটভাটায় সরবরাহ করে। এই মাটি বহনে দ্রুতগতীর ট্রাক্টরগুলোর যাতায়াতের ফলে ওইসব এলাকার চলাচলের রাস্তাগুলো ভেঙে একাকার। জনগণের ভোগান্তি হলেও ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা থাকেন নির্বিকার।

কারণ জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করতে সহযোগিতা করেন সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ওই সংগঠনের উপদেষ্টা লিটন। তিনি যেন উপজেলায় মাটি কাটার ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করেন। ফলে দেদারসে পুকুর খনন ও আবাদি জমির মাটি কাটা চললেও কেউ কোন বাধা দেয়না বলে অভিযোগ রয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সৈয়দপুরে পুকুর খনন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলো এসিল্যান্ড

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মাস্টারের ছেলে তার পুকুর খনন করতে এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। গভীর করে খনন করায় আশেপাশের ফসলী জমির ক্ষতির আশঙ্কায় মালিকরা নিষেধ করলেও কর্ণপাত না করায় তারা বাধ্য হয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানান। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রমিজ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সত্যতা পান।

পরপ তিনি তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এবং এক্সাভেটর মেশিন মালিক সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়ার মোঃ আজগরের ছেলে শাহিন কে ৫০ হাজার জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রমিজ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত গভীর করে পুকুর খনন করায় বালু ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা অনুযায়ী এক্সাভেটর মেশিন ব্যবহারকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ অভিযান পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর থানার এসআই আনছার আলী, আবু সাইদ ও লিক্সনসহ সংবাদকর্মীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সর্বত্রই এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করাসহ ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। আর এসব মাটি নেয়া হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে ট্রাক্টর ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক সমিতি নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিশেষ করে সভাপতি ওবায়দুল নিজে চুক্তি করে জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে নিয়ে ইটভাটায় সরবরাহ করে। এই মাটি বহনে দ্রুতগতীর ট্রাক্টরগুলোর যাতায়াতের ফলে ওইসব এলাকার চলাচলের রাস্তাগুলো ভেঙে একাকার। জনগণের ভোগান্তি হলেও ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা থাকেন নির্বিকার।

কারণ জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করতে সহযোগিতা করেন সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ওই সংগঠনের উপদেষ্টা লিটন। তিনি যেন উপজেলায় মাটি কাটার ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করেন। ফলে দেদারসে পুকুর খনন ও আবাদি জমির মাটি কাটা চললেও কেউ কোন বাধা দেয়না বলে অভিযোগ রয়েছে।