হাটমাধনগর তহশিলদার ও দালালদের মিথ্যাচারী

রাজশাহী বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের হাটমাধনগর তহশিল অফিসের তহশিলদার ও তার পালিত দালালদের বিভিন্ন অনিয়ম ও তাদের রাষ্ট্রীয় অপর্কম গুলো ঢাকাতে এবং নিজের “গা” বাঁচাতে স্থানীয় সংবাদকর্মীকে টাকা দিয়ে সত্য ও সঠিক সংবাদের বিরুদ্ধে নিজের মনগড়া কথা লেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নরদাশ ইউনিয়নের হাটমাধনগর তহশিল অফিসের তহশিলদার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। যা সঠিক তথ্য ও কথা নয়। তিনি রাজশাহী বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের হাটমাধনগর তহশিল অফিসে যোগদান করার পর থেকে জমাজমি সংক্রান্ত কাগজ পত্র নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করছেন এটাই বাস্তাব সত্য। তাই এ ব্যাপারে তার এবং তার দালালদের অত্যাচারে অধিষ্ঠিত হয়ে নরদাশ ইউনিয়নের কোয়ালিপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক মোঃ ইয়াকুব আলী বাদি হয়ে বাগমারা উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবর সহ প্রশাসনের বিভিন্ন অধিদপ্তরের তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাটমাধনগর তহশিল অফিসের তহশিলদার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন তিনি এবং তার দালাল দ্বারা গ্রাহকদের দলিল খারিজ করে দিবে বলে হাজার হাজার টাকা নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করছে। জমিসংক্রান্ত কাগজপত্রের চেক / খতিয়ান নিতে আসলে তিনি এবং তার পালিত দালালরা ভালো ব্যবহার করেন না বরং গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে হয়রানি করেন। সরেজমিনে তহশিল অফিসে গিয়ে দালালদের দৌরাত্বের চিত্র বাস্তব দেখা যায়। তাছাড়া ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এমনি হাতরুম গ্রামের ভোক্তভোগী মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, তিনি আজ থেকে ৩/৪বছর আগে তিনটি দলিল হাটমাধনগর তহশিল অফিসে তহশিলদার ও দালাল মোঃ আব্দুল সাত্তার কে খারিজ করার জন্য (১৮০০০) হাজার টাকা দিয়েছেন কিন্তু তিনিরা আজ দিবেন কাল দিবেন বলে শুধু আমাকে ঘুরাচ্ছেন। তাই আমি নিরা উপায় ঘুরছি। এ রকম শত শত গ্রাহক তহশিল অফিসের তহশিলদার ও দালাল দ্বারা হয়রানি হচ্ছে। যাহা আইনের পরিপন্থি বলে এলাকার সবাই মনে করে। তাই বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নবাসির প্রাণের দাবি এ ধরনের দালাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তহশিলদার কে আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করে অন্যত্রে বদলি করা। তা না হলে অচিরেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে অনেক মনে করেন। এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাহমুদুল হাসান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাটমাধনগর তহশিল অফিসের তহশিলদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগর ভিক্তিতে তদন্ত করা হয়েছে, এবং তদন্তের লিখিত প্রতিবেদন রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা রাজশাহী প্রতিনিধি

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title