নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একইসঙ্গে রাজধানীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার মনিটরিংয়েও নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগত ভিভিআইপিদের গমনাগমনের জন্য ২৬ ও ২৭ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এমনকি কিছু কিছু সময়ের জন্য অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধও করা হবে।’

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, পুরো রাজধানী নিরাপত্তা বলয়ে রাখা হয়েছে। ডিএমপি ছাড়াও সব ইউনিট একইসঙ্গে মাঠে কাজ করছে। সিআইডি, র্যাব ও এসবির পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কাজ করছে। এছাড়া ডিএমপির ডিবি, ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল ইউনিট রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মাঠে রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সাদা পোশাকে রয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃঞ্চ পদ রায় বলেন, ‘নিরাপত্তার পুরো শক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। পুরো রাজধানী নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে।’

ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় মোদির যাতায়াত ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘কেবলমাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা শুধু রাষ্ট্রপ্রধান নয়, দেশে ও দেশের বাইরে থেকে আসা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সফরসূচিকে কেন্দ্র করে র্যাব অভূতপূর্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা সরকার প্রধানের আসাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতা যাতে না হয় সেজন্য তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অতিথিদের আগমন সূচিতে যেসব স্থান রয়েছে (ঢাকার ভেতরে ও বাইরে) সেখানে র্যাব তিন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থানগুলোতে র্যাব সদস্যদের দৃশ্যমান উপস্থিতি, গোয়েন্দা নজরদারি এবং সাইবার মনিটরিং করা হয়। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, বিগত দিনে র্যাব যেভাবে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে, আগামী দিনগুলোতেও র্যাব তার স্বাক্ষর রেখে যাবে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title