গ্রীষ্মের তপ্ত গরমে তৃষ্ণা নিবারনে তালের শাঁস

আনিসুর রহমান সজীবঃ কেউ বলে তালের শাঁস, কেউবা বলেন তাল কুর, কেউ বলে তালের আঁটি। প্রচণ্ড তাপদহে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও সে দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষগুলো। গ্রাম ও শহরের বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষের কাছে তালের শাঁসের কদর বেশি। মানুষ শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন।

তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত মানুষ তালের শাঁসে প্রশান্তি খুঁজছেন। নারী-পুরুষ ও শিশুরা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে তালের শাঁস খাচ্ছেন। তবে এ বছর তীব্র তাপদাহে তালের শাঁসের চাহিদা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের গ্রামাঞ্চল থেকে তাল সংগ্রহ করে সড়কের পাশে ও অলিগলিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।আর লাইন ধরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা।

তালে রয়েছে ভিটামিন এ,বি ও সি,জিংক পটাশিয়াম,আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ জলীয় অংশ, ক্যালরি ২৯,শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালমিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম।

ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবার তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। এরপরও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের। তালের চাহিদা থাকায় বিচি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বড় তাল প্রতি বিচি শাঁস ১০ টাকা করে তিন বিচি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আবার ছোট তালের বিচির শাঁস ৫ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা মুল্যের দিকে না তাকিয়ে স্বাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছেন। ইফতি নামে এক ক্রেতা বলেন,বড় তাল প্রতি বিচি শাঁস ৮ টাকা করে তিন বিচি তালের শাঁস কিনছি ২৪ টাকায়।

উপজেলার মোগরাপাড়া বাজারের তাল বিক্রেতা মোঃ আলী বলেন, গ্রাম থেকে তাল কিনে ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। প্রতি পিস তাল কিনতে হয় প্রকারভেদে ৮ থেকে ১০ টাকা। বিক্রি করি ১৫ থেকে ২০ টাকা। গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি করছি। এতে দৈনিক ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title