চট্টগ্রামে করোনার সংকটে জীবনের মায়া ত‍্যাগ করে জনসেবায় তৎপর কাউন্সিলর প্রার্থীরা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাসের আক্রমণ মহামারী রূপ ধারন করে গোটা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি কিংবা নেই কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা। উন্নত বিশ্বের আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, জার্মানী, ফ্রান্স কিংবা যুক্তরাজ্যের মত উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও হার মানিয়ে করোনা তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গন সহ সকল সেক্টরে। একদিকে মানুষকে বাঁচানো, অন্য দিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে উন্নত রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীন ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

আইইডিসিআর এর তথ্য মতে গত ৮মার্চ বাংলাদেশে মানবদেহে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমন ধরা পড়ে । ক্রমেই আক্রমণ এবং প্রাণহরণের হার বেড়ে চলছে। কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আইসোলেশনেও রাখা হয়েছে অনেক মানুষকে। সরকারের যথাযথ ও দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ হিসাবে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই প্রতিকুল অবস্থায় দিনরাত ২৪ ঘন্টা ঘরবন্দী মানুষকে ডোর টু ডোর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কিছু বতর্মান ও নবাগত তরুণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

*** ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন

বাংলাদেশে করোনার আক্রমনে শুরুর থেকেই এক নির্ভীক জনপ্রতিনিধি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজেকে উজার করে দিয়েছেন।কখনও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে সুরক্ষার জন্য কখনও ক্ষুধার্থদের পাশে খাবার নিয়ে এলাকাবাসীর ঘরের দরজায়।মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত এই প্রার্থী দেখিয়ে দিয়েছেন জনসেবা কাকে বলে।স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন থেকে বঞ্চিত করা হয় তাকে। পরে সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছিলেন তিনি।কিন্তু থেমে নেই তার কর্মযজ্ঞ।যারা করোনার ভয়ে নিজেকে আড়াল করে দুরে সরে গেছে,তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ভয়কে জয়ে পরিনত করতে হয়।কি ভাবে একজন প্রকৃত সেবক হতে হয়।আমি সেবক,সেবা করে আমার প্রিয় এলাকাবাসির কাছে তাকতে চাই।

*** ২৩নং ওয়ার্ড বর্তমান ও কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃজাবেদ।

প্রতিদিন অসহায় মানুষকে সহায়তা দিচ্ছেন তিনি তো আওয়ামী লীগের কর্মী। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন এটা প্রমাণ করেছেন কাউন্সিলর মোঃজাবেদ।করোনা পার্দুভাবের শুরু থেকেই নিজকে শতভাগ উজার করে দিয়েছেন।এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে সরকারি এবং ব‍্যাক্তিগত সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন অনায়াসে। এলাকাবাসির সুরক্ষার জন্য সংকটের শুরু থেকে নিজের জীবন বিপন্ন করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এভাবেই মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন এই তরুণ কাউন্সিলর।

*** ২৪নং কাউন্সিলর প্রার্থী রাসেদুল ইসলাম।

২৪নং উত্তর আগ্রাবাদে অসহায় এলাকাবাসির পাশে নিজকে উজাড় করে ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ সমাজ সংষ্কারক ও ২৪নং ওয়ার্ডের ভরসাস্থল কাউন্সিলর প্রার্থী রাসেদুল ইসলাম। করোনার ভয়ে যখন লোক দেখানো সেবকরা ঘরের কোনে লুকিয়ে পড়ে ঠিক তখনই প্রকৃত সেবকের আর্বিভাব ঘটে, করোনার সংকটে সর্ব প্রথম তিনি নিজে ও সেচ্চাসেবী টিম দিয়ে প্রতিনিয়ত মসজিদ, বাড়ি, হাট বাজারে জীবানু নাশক ঔষধ ছিটিয়েছেন। লগডাউনের শুরুতে নিম্ন মধ্যবিও, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সি এন জি চালক, নিমার্ন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন ও গর্ববতী মায়েদের জন্য পুস্টি কার্যক্রম, ইমাম মোয়াজ্জিনদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রধান করেন।
গভীর রাতে নিজ মহল্লায় ঘরে ঘরে সেহেরি দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।অন‍্যদের দিচ্ছেন নগদ অর্থ সহায়তা।
মানবতার ফেরিওয়ালা ক্ষেত পরিচ্ছন্ন ইমেজের এই প্রার্থী করোনা সমস্যার শুরু থেকে জন-সাধারনকে দিয়ে যাচ্ছেন মানবিক সেবা।এবং কি গভীর রাতে এলাকাবাসির ঘরের দরজায় নিরবে রেখে আসছেন তার উপহার সামগ্রী।

*** ২৫নং রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর সবুর লিটন।

আব্দুস সবুর লিটন শুধু নামেই নয় যেন কাজেই তার পরিচয়।এলাকার মানুষকে সুখী রাখতে যাযা করা দরকার সবটাই করেছেন সফল এই কাউন্সিল।নিজে সেচ্ছাসেবী টিম তৈরী করে মার্স্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ ও এলাকায় জীবাণুনাশক ঔষুধ চিটিয়েছেন প্রতিদিনই। এলাকায় ঘোষণা করেন আমার এলাকায় একটা মানুষও না খেয়ে থাকবে না, আমাকে আপনারা দোয়া করবেন দেশে যতদিন এই দূ:সময় থাকবে ততদিন আমার এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। রামপুর ওয়ার্ডের জন্য ৮০০০ পরিবারের খাদ্যের ব্যাবস্থা করেছি।

করোনা ভাইরাসের কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে উপার্জন বন্ধ হওয়ায় কষ্টে থাকা দিনমজুর, শ্রমিকসহ অসহায় মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিজেই অসহায় মানুষের বাসার দরজার সামনে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট রেখে আসছেন এই মানবতার সেবক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title