ভুট্টার পাতা বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
- আপডেট সময় :
১২:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
১০
বার পড়া হয়েছে
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলায় মানুষের প্রধান অর্থকারী ফসল হলো ভুট্টা চাষাবাদ। জেলা থেকে দেশে ভুট্টার চাহিদা সিংহভাগ পুরণ হয়। কোন প্রকৃতি দুর্যোগ না হলে এ বছর জেলায় ভুট্টা চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ফলনও ভালো হবে। ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোতে ভুট্টা তোলা শুরু হয়েছে।
প্রতিবিঘা ভুট্টা ক্ষেতের পাতা ও গাছের মাথা কাটতে ২ জন করে শ্রমিক লাগলেও নিম্ন আয়ের মানুষজন তা বিনামূল্যে করে দিচ্ছে। তারা ভুট্টা গাছের পাতা ছিঁড়ে ও মাথা কেটে নিয়ে হাট বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। লাভবান হচ্ছে ভুট্টা চাষিরা আর জীবিকা নির্বাহ করে সংসারের অভাব দূর করছেন কর্মহীন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা।
অপরদিকে দামে কম হওয়ায় গো-খাদ্য হিসেবে অনেকেই ভূট্টার পাতা কিনে নিচ্ছে। বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর। এতে একদিকে নিম্ন আয়ের মানুষজনের আয় হচ্ছে, অন্যদিকে কম দামে বিভিন্ন গবাদিপশু খামারিরা পশুর খাদ্য পাচ্ছে ও কৃষকদের ভুট্টা উৎপাদনে খরচও কমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার হাতীবান্ধাহাট, পারুলিয়াহাট, সানিয়াজান বাজার, বড়খাতা, ঘুন্টিবাজার, কালীগঞ্জ উপজেলার ভুল্ল্যারহাট, ভোটমারীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ভুট্টা পাতার হাট বসছে।
উপজেলার ভোটমারী এলাকার দিনমজুর কোনা মিয়া বলেন, বর্তমানে এলাকায় কোনো কাজ নেই। অভাব অনাটনের মাঝে দিন কাটাচ্ছি। তার উপরে লকডাউন। ফলে স্ত্রীসহ প্রতিদিন সকালে ডাউয়াবাড়ীর চরে গিয়ে ভুট্টা পাতা ছিঁড়ে ভোটমারী বাজারে বিক্রি করি। এতে প্রতিদিন ২৫০থেকে ৩’শ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। এ দিয়ে কোনো রকম সংসার চলছে। পাতার জন্য ক্ষেত মালিকদের কোনো টাকা দিতে হয় না। কয়েকদিন পর ভুট্টা তোলা শুরু হলে তখন ভুট্টা তোলার কাজ করবো।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ
You cannot print contents of this website.