ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ  কুমারখালীতে স্কাউটস কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত ঘুমের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি25 এইচএসসি পরীক্ষা : কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ নিষেধ তেহরানে ‘অযৌক্তিক আগ্রাসন’ চালিয়েছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র : পুতিন ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25 ইরানে মার্কিন হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেল তেলের দাম সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা25 স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ25

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ : অধ্যক্ষ গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১ ১৩ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রাসার পাশে থাকা মেসে থাকা সপ্তম শ্রেণির মাদ্রসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাওঃ আবদুর রহমান মিন্টু (৩২) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আবদুর রহমান মিন্টু উপজেলার বিহার ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর চাঁনপাড়ার মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল কলেজ পাড়ার হযরত ফাতেমা (রা.) হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ)।

১ জুন মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২ জুন বুধবার দুপুর ১২টায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে থানা পুলিশের ওসি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদ্রাসাটি আবাসিক। সেখানে ১২ জন ছাত্রী একসঙ্গে হলরুমে থাকতো। তাদের সঙ্গে ওই ছাত্রীও লেখাপড়া করতো। হলরুমের পাশেই সপরিবারে বাস করেন মাও. আবদুর রহমান মিন্টু।
ঘটনার দিন ৩০ মে রাতে ছাত্রীরা সবাই খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মাও. মিন্টু হলরুমে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি -ধামকী দেন।
পরদিন ওই ছাত্রী তার বাড়িতে মোবাইল ফোনে কান্নাকাটি করে বিস্তারিত বলে। এ কারণে পরিবার থেকে লোকজন গিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার দাদিকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আবদুর রহমান মিন্টুকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই মাদ্রাসা শিক্ষক মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, এর আগেও তিনি ওই মাদ্রাসার আরও তিন-চারজন ছাত্রীকে একই কায়দায় ধর্ষণ করেছেন বলে পুলিশকে জানান। মান-সম্মানের ভয়ে ওইসব ছাত্রীর পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়নি। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ : অধ্যক্ষ গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০১:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রাসার পাশে থাকা মেসে থাকা সপ্তম শ্রেণির মাদ্রসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাওঃ আবদুর রহমান মিন্টু (৩২) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আবদুর রহমান মিন্টু উপজেলার বিহার ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর চাঁনপাড়ার মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল কলেজ পাড়ার হযরত ফাতেমা (রা.) হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ)।

১ জুন মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২ জুন বুধবার দুপুর ১২টায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে থানা পুলিশের ওসি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদ্রাসাটি আবাসিক। সেখানে ১২ জন ছাত্রী একসঙ্গে হলরুমে থাকতো। তাদের সঙ্গে ওই ছাত্রীও লেখাপড়া করতো। হলরুমের পাশেই সপরিবারে বাস করেন মাও. আবদুর রহমান মিন্টু।
ঘটনার দিন ৩০ মে রাতে ছাত্রীরা সবাই খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মাও. মিন্টু হলরুমে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি -ধামকী দেন।
পরদিন ওই ছাত্রী তার বাড়িতে মোবাইল ফোনে কান্নাকাটি করে বিস্তারিত বলে। এ কারণে পরিবার থেকে লোকজন গিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার দাদিকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আবদুর রহমান মিন্টুকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই মাদ্রাসা শিক্ষক মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, এর আগেও তিনি ওই মাদ্রাসার আরও তিন-চারজন ছাত্রীকে একই কায়দায় ধর্ষণ করেছেন বলে পুলিশকে জানান। মান-সম্মানের ভয়ে ওইসব ছাত্রীর পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়নি। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।