ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াবে না, ধারণা ৬০ শতাংশ মার্কিনির25 পাঁচবিবিতে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন25 আমার ফেলে আসা প্রতিটি সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ – জয়া25 মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস

বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১ ৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে রাজনীতি করা হয়, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন অথচ তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়, বিকৃতি করা হয়। এটি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ক্লাবটি আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ‌্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এটা কোনো দেশে হয় না। নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ভোটাধিকার নাই। যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে, তারা রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে জিয়াউর রহমানের কল্যাণে, তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে। যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়েছে।

মঞ্জুরাল ইসলাম বুলবুলের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের যে বিচার হয়েছে সেখানে স্বাক্ষীরা কি বলেছেন, আসামিরা কি জবানবন্দি দিয়েছে, কার সাথে কি মিটিং হয়েছে, জিয়াউর রহমানের সাথে কার কখন মিটিং হয়েছে। জিয়াউর রহমান কিভাবে তাতে সায় দিয়েছে, সহযোগিতা আসে সেগুলো সেখানে বর্ণিত আছে। আরও অনেক বই পুস্তক বেরিয়েছে। কায়সার হামিদ আমাদের ফুটবলার তার বাবা মিস্টার হামিদ। তিনি জিয়াউর রহমানের কোর্স মেইট। তিনি বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তার স্বচক্ষে দেখা ঘটনাপ্রবাহ প্রেক্ষিতে তিনি তা লিখেছেন। বঙ্গভবনে তার লাশ তখনও দাফন হয়নি, ভুরিভোজ হচ্ছে। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কীভাবে খুনিরা ফিসফাস করছে- এ সমস্ত কিছু বইয়ে আছে।

তিনি আরো বলেন, কয়েকজন সেনা অফিসার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তারা সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছিল। কেউ যদি সেনাবাহিনী থেকে আউস্টেড হয়, তার সেনানিবাসে প্রবেশ করতে পারেনা। কিন্তু তারা সেনানিবাসে গিয়ে টেনিস খেলতো, ব্যাডমিন্টন খেলতো। তারা কিভাবে এখানে আসলো জেনারেল শফিউল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করল তখন তারা বললো সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের অনমুতি নিয়ে আসছে। তারা টেনিস খেলতে গিয়ে ষড়যন্ত্র গুলো করতো। আজকে এইসব প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকান্ডে সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। আজকে যদি তা করা না হয়, তাহলে আজ থেকে ৫০, ১০০ বছর পর ইতিহাস রচিত হবে, কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই শুধু যুক্ত ছিল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম ও বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ প্রমুখ।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে

আপডেট সময় : ০১:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে রাজনীতি করা হয়, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন অথচ তাকে অস্বীকার করা হয়। তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়, বিকৃতি করা হয়। এটি যারা করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ক্লাবটি আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ‌্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এটা কোনো দেশে হয় না। নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ভোটাধিকার নাই। যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে, তারা রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে জিয়াউর রহমানের কল্যাণে, তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে। যারা স্বাধীনতা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়েছে।

মঞ্জুরাল ইসলাম বুলবুলের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের যে বিচার হয়েছে সেখানে স্বাক্ষীরা কি বলেছেন, আসামিরা কি জবানবন্দি দিয়েছে, কার সাথে কি মিটিং হয়েছে, জিয়াউর রহমানের সাথে কার কখন মিটিং হয়েছে। জিয়াউর রহমান কিভাবে তাতে সায় দিয়েছে, সহযোগিতা আসে সেগুলো সেখানে বর্ণিত আছে। আরও অনেক বই পুস্তক বেরিয়েছে। কায়সার হামিদ আমাদের ফুটবলার তার বাবা মিস্টার হামিদ। তিনি জিয়াউর রহমানের কোর্স মেইট। তিনি বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তার স্বচক্ষে দেখা ঘটনাপ্রবাহ প্রেক্ষিতে তিনি তা লিখেছেন। বঙ্গভবনে তার লাশ তখনও দাফন হয়নি, ভুরিভোজ হচ্ছে। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কীভাবে খুনিরা ফিসফাস করছে- এ সমস্ত কিছু বইয়ে আছে।

তিনি আরো বলেন, কয়েকজন সেনা অফিসার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তারা সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছিল। কেউ যদি সেনাবাহিনী থেকে আউস্টেড হয়, তার সেনানিবাসে প্রবেশ করতে পারেনা। কিন্তু তারা সেনানিবাসে গিয়ে টেনিস খেলতো, ব্যাডমিন্টন খেলতো। তারা কিভাবে এখানে আসলো জেনারেল শফিউল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করল তখন তারা বললো সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের অনমুতি নিয়ে আসছে। তারা টেনিস খেলতে গিয়ে ষড়যন্ত্র গুলো করতো। আজকে এইসব প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকান্ডে সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন। আজকে যদি তা করা না হয়, তাহলে আজ থেকে ৫০, ১০০ বছর পর ইতিহাস রচিত হবে, কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই শুধু যুক্ত ছিল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম ও বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ প্রমুখ।