ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিএসএস প্রতিষ্ঠাতা রেভা. পলমুন্সী স্মরণে ভেড়ামারাতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অস্ত্রোপচার করাবেন বেলিংহ্যাম – মাঠের বাইরে যাচ্ছেন কতদিন? যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু ইরাকের ৩ সামরিক ঘাঁটি ও বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হামলা25 দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ  কুমারখালীতে স্কাউটস কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত ঘুমের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি25 এইচএসসি পরীক্ষা : কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ নিষেধ

সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ ১২ বার পড়া হয়েছে

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের চার সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোকা এরপর উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। রোববার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কায়াকপুরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে মোকা। এ সময় গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

এর আগে শুক্রবার সকালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত এ ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। বেলা পৌনে ৩টার দিকে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় দ্বীপবাসীদের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সেন্টমাটিন দ্বীপের আকাশে মেঘ দেখা গেছে। শুরু হয়েছে বাতাস। সকালে দ্বীপ থেকে কাঠের ট্রলারে প্রায় পাঁচশ’ মানুষ সেন্টমাটিন ছাড়েন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি রোববার কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় পুরোটা জলোচ্ছ্বাসের সময় ডুবে যেতে পারে। এর চারপাশে বাঁধ না থাকায় এবং সেখানে প্রচুর অবকাঠামো থাকায় ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

আপডেট সময় : ০৮:১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের চার সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া মোকা এরপর উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। রোববার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কায়াকপুরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে মোকা। এ সময় গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

এর আগে শুক্রবার সকালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত এ ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। বেলা পৌনে ৩টার দিকে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় দ্বীপবাসীদের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সেন্টমাটিন দ্বীপের আকাশে মেঘ দেখা গেছে। শুরু হয়েছে বাতাস। সকালে দ্বীপ থেকে কাঠের ট্রলারে প্রায় পাঁচশ’ মানুষ সেন্টমাটিন ছাড়েন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি রোববার কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় পুরোটা জলোচ্ছ্বাসের সময় ডুবে যেতে পারে। এর চারপাশে বাঁধ না থাকায় এবং সেখানে প্রচুর অবকাঠামো থাকায় ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।