ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সদরপুরে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট, ক্রেতা সংকটে হতাশ খামারীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

সদরপুর(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শেষ মুহুর্তে কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেলেও ঘন ঘন বৃস্টি আর দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার কারনে ক্রেতা সংকটে হতাশ খামারীরা। উপজেলার বড় পশুর হাট কৃষ্ণপুর ও সাড়ে সাতরশি হাট ঘুরে দেখা যায় হাটে প্রচুর দেশি জাতের গরু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। হাটে গরুর পাশাপাশি ছাগলের বিক্রি ভাল। সব ধরনের গরু হাটে পাওয়া গেলেও সাইজে ছোট ও মাঝারী গরুর চাহিদা বেশী। দূর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন পাইকাররা এসে গরু ছাগল ক্রয় করে বেশী লাভের আশায় রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তুলনামুলকভাবে পাইকারের সংখ্যা এবছর কম।

শনিবার (৩১ মে) উপজেলার বড় গরুরহাট সাড়ে সাতরশি বাজারে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, ছোট সাইজের গরু ৭৫/৮৫ হাজার টাকায় বেচা বিক্রি হচ্ছে,মাঝারী সাইজের গরু ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০/৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম।

সতের রশি গ্রামের গরু বিক্রেতা আইয়ুব হাওলাদার জানান, আমি ৪ টা গরু পালন করে হাটে এনেছি বিক্রি করতে। এবছর গো-খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় গরু পালনে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ভাল দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে।

সদরপুর উপজেলার সাড়ে সাতরশি গ্রামের বিক্রেতা আবু সালেহ মুসা জানান, ‘গত বছর কোরবানির ঈদের পর ছয়টি গরু কিনেছিলাম সাড়ে ৪ লাখ টাকায়। প্রতিটা গরুর জন্য দিনে খাওয়া খরচ হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বছরে একটা গরু বড় করতেই খরচ হয়ে যায় ৮০-৯০ হাজার টাকা। সমিতির ঋণের টাকা সুদসহ দিতে হবে। বাজারে যে গরুটি এনেছি এখন গরু বিক্রি করে সব টাকা শোধ করা লাগবে।’

সাড়ে সাতরশি গরু হাটের ইজারাদার বাহালুল মাতুব্বর বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গরুর সংখ্যা বেশী৷ বিক্রিও হচ্ছে অনেক৷ প্রতি হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা আসছেন গরু ছাগল কিনতে। হাটে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি হাট কমিটির পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলার নয়টি উপজেলায় ১ লাখ ১০ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ আসন্ন কোরবানির জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। যা জেলার চাহিদার চেয়েও বেশি। আশা করছি খামারিরা তাদের পালনকৃত পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন।

প্রতিবেদনে
মোঃ শেখ ছোবাহান

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সদরপুরে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট, ক্রেতা সংকটে হতাশ খামারীরা

আপডেট সময় : ১২:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

সদরপুর(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শেষ মুহুর্তে কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেলেও ঘন ঘন বৃস্টি আর দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার কারনে ক্রেতা সংকটে হতাশ খামারীরা। উপজেলার বড় পশুর হাট কৃষ্ণপুর ও সাড়ে সাতরশি হাট ঘুরে দেখা যায় হাটে প্রচুর দেশি জাতের গরু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। হাটে গরুর পাশাপাশি ছাগলের বিক্রি ভাল। সব ধরনের গরু হাটে পাওয়া গেলেও সাইজে ছোট ও মাঝারী গরুর চাহিদা বেশী। দূর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন পাইকাররা এসে গরু ছাগল ক্রয় করে বেশী লাভের আশায় রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তুলনামুলকভাবে পাইকারের সংখ্যা এবছর কম।

শনিবার (৩১ মে) উপজেলার বড় গরুরহাট সাড়ে সাতরশি বাজারে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, ছোট সাইজের গরু ৭৫/৮৫ হাজার টাকায় বেচা বিক্রি হচ্ছে,মাঝারী সাইজের গরু ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০/৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম।

সতের রশি গ্রামের গরু বিক্রেতা আইয়ুব হাওলাদার জানান, আমি ৪ টা গরু পালন করে হাটে এনেছি বিক্রি করতে। এবছর গো-খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় গরু পালনে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ভাল দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে।

সদরপুর উপজেলার সাড়ে সাতরশি গ্রামের বিক্রেতা আবু সালেহ মুসা জানান, ‘গত বছর কোরবানির ঈদের পর ছয়টি গরু কিনেছিলাম সাড়ে ৪ লাখ টাকায়। প্রতিটা গরুর জন্য দিনে খাওয়া খরচ হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বছরে একটা গরু বড় করতেই খরচ হয়ে যায় ৮০-৯০ হাজার টাকা। সমিতির ঋণের টাকা সুদসহ দিতে হবে। বাজারে যে গরুটি এনেছি এখন গরু বিক্রি করে সব টাকা শোধ করা লাগবে।’

সাড়ে সাতরশি গরু হাটের ইজারাদার বাহালুল মাতুব্বর বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গরুর সংখ্যা বেশী৷ বিক্রিও হচ্ছে অনেক৷ প্রতি হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা আসছেন গরু ছাগল কিনতে। হাটে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি হাট কমিটির পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলার নয়টি উপজেলায় ১ লাখ ১০ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ আসন্ন কোরবানির জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। যা জেলার চাহিদার চেয়েও বেশি। আশা করছি খামারিরা তাদের পালনকৃত পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন।

প্রতিবেদনে
মোঃ শেখ ছোবাহান