চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু

- আপডেট সময় : ১২:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
দুই দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে। বন্দরে জাহাজ থেকে আমদানি কনটেইনার নামানো হচ্ছে এবং বেসরকারি ডিপো থেকে রপ্তানি কনটেইনার বন্দরে এনে জাহাজে তোলা হচ্ছে। একইসাথে বন্দর থেকে কনটেইনার খুলে পণ্য খালাসও শুরু হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর গতকাল রাত থেকেই কাস্টমসের অনুমোদন সাপেক্ষে বন্দরের কাজ ফের সচল হয়।
গত শনিবার থেকে রবিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, কারণ কাস্টমসের অনুমোদন ছাড়া বন্দরের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
গতকাল রাতে ঢাকায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের বৈঠকের পর কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পণ্য খালাসে গতি ফিরছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর রাতেই আংশিকভাবে কাজ শুরু হলেও সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা তাদের আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাসের জন্য বন্দরে আসতে শুরু করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পণ্য খালাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ এবং জরুরি পণ্য খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া পণ্য খালাসে গতি আনতে কাস্টমস এবং বন্দর কর্মকর্তারা সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শুল্ক ব্যবস্থার সংস্কার, স্বচ্ছতা এবং সঠিক রাজস্ব আদায়ের দাবিতে কর্মসূচি দেওয়া হলেও আলোচনার ভিত্তিতে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিগগিরই কাস্টমসের আধুনিকীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতারা আশা করছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলমান থাকলে ব্যবসা ও শিল্প উৎপাদন স্বাভাবিক হবে এবং বাজারে পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং বন্দরে আগত আমদানি কনটেইনার দ্রুত খালাসের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল হওয়ায় বন্দর, ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।