আ. লীগ-জামায়াত একই মনমানসিকতার ধারক-বাহক : ইশরাক
- আপডেট সময় : ০৯:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
- / 6
প্রশাসনকে আন্ডারে (কব্জায়) আনা নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ও দলটির ঢাকা-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
পোস্টে শাহজাহান চৌধুরীকে ধিক্কার জানিয়ে ইশরাক হোসেন লেখেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করার পরিকল্পনা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ মানুষ। আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল) ও জামায়াতে ইসলামী একই মনমানসিকতার ধারক ও বাহক তা বলা বাহুল্য। যে সব আসনে এই নব্য ফ্যাসিবাদরা মাথাচাড়া দেবে, তাদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। কয়দিনের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে পারবে স্বৈরাচার আর রাজাকার, মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। পুলিশ দিয়ে ভোট ডাকাতির বাসনা সেখান থেকেই এসেছে।’
এর আগে শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের চট্টগ্রামের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর জন্য আজকের এই সুযোগ ভবিষ্যতে আর আসবে না। (দেশের) দুর্নীতির টাকা বাদ দেন, পার্শ্ববর্তী দেশ হিন্দুস্তান থেকে বস্তা বস্তা টাকা দেশে ঢুকবে। আর অস্ত্র ঢুকবে। আমাদের আমিরে জামায়াত যদি থাকতেন, তাহলে আমি বলতাম, নির্বাচন শুধু জনগণকে দিয়ে নয়। আমি ন্যাশনালি বলব না, যার যার নির্বাচনী এলাকায়, যারা আছে প্রশাসনে যারা আছে, তাদেরকে অবশ্যই আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।

বক্তব্যে কেন্দ্রীয় এক নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষককে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম সকাল বেলায় জেনে নেবে, আর আপনাকে প্রোটোকল দেবে। টিএনও (ইউএনও) সাহেব যা উন্নয়ন এসেছে, সমস্ত উন্নয়নের হিসেবে যিনি নমিনি (জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) তার থেকে খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাকে মাফ করবেন, নির্বাচন সংগঠন নয়। সংগঠন অবশ্যই লাগবে। সংগঠন আমাদের মৌলিক ভিত্তি। সংগঠনই আমাদের একমাত্র ধারক এবং বাহক। কিন্তু জনগণকে যদি জায়গা দিতে না পারেন, তাহলে নির্বাচনে বিজয় হওয়া কঠিন। যেমন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছে। জনগণকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই জনতার আন্দোলনের মাঝে আওয়ামী লীগের নেতারা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
তবে শাহজাহান চৌধুরীর এই বক্তব্য নিজস্ব এবং এক্ষেত্রে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রামের জোনের প্রধান মুহাম্মদ শাহজাহান। রোববার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বক্তব্যটি আমরা দেখেছি। এটা একান্তই উনার বক্তব্য। এটার ব্যাখ্যা উনি ভালো দিতে পারবেন। তবে তার এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণভাবেও আমাদের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি।























