ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ  কুমারখালীতে স্কাউটস কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত ঘুমের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি25 এইচএসসি পরীক্ষা : কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ নিষেধ তেহরানে ‘অযৌক্তিক আগ্রাসন’ চালিয়েছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র : পুতিন ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25 ইরানে মার্কিন হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেল তেলের দাম সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা25 স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ25

সামুদ্রিক সম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০ ৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামুদ্রিক সম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমার ওপর যে আমাদের অধিকার আছে সেটি কখনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। আমরা এখন যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি সেই সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকে চলাচল করে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেন তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।

রোববার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নয়টি জাহাজ ও একটি ঘাঁটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিরোধীদলে থেকেও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠনে আওয়ামী লীগ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিএনপি ক্ষমতাসীন সরকারের সংসদে বিরোধীদলে থেকেও আইন পাস করে কোস্টগার্ড গঠনের সূচনাতে দলটি ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকেই কোস্টগার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সাল থেকে আমরা আরও ব্যাপকভাবে উন্নয়নে কাজ করি। ২৭টি কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ ৫৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারে ৫৫টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেস নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।

নতুন এ ১০টি নৌযান যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোস্টগার্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে জানান শেখ হাসিনা। বিভিন্ন জলযান ও যুদ্ধ জাহাজ এখন বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আজকে যুক্ত হওয়া ১০টি নৌযানের মধ্যে পাঁচটি দেশের নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড ও খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে জাহাজের কমিশনিং ও বিসিজি বেইস ভোলার উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্ট গার্ড পূর্বাঞ্চলের বেইস স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নয়টি জাহাজের মধ্যে চারটি ইতালি থেকে কেনা হয়েছে। বাকি পাঁচটি তৈরি করা হয় নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা শিপইয়ার্ডে।

ইতালি থেকে কেনা চারটি অফশোর পেট্রোল ভেসেল হলো- বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল, বিসিজিএস তাজউদ্দিন, বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান।

দেশে তৈরী ভেসেলগুলো হলো বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা ও বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা।

এছাড়া দুটি ফাস্ট পেট্রোল বোট বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া আজ এ বাহিনীর বহরে যুক্ত হবে। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমানায় অতন্দ্র প্রহরীর কোস্ট গার্ডের যাত্রা শুরু হয়।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সামুদ্রিক সম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামুদ্রিক সম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমার ওপর যে আমাদের অধিকার আছে সেটি কখনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। আমরা এখন যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি সেই সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকে চলাচল করে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেন তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।

রোববার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নয়টি জাহাজ ও একটি ঘাঁটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিরোধীদলে থেকেও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠনে আওয়ামী লীগ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিএনপি ক্ষমতাসীন সরকারের সংসদে বিরোধীদলে থেকেও আইন পাস করে কোস্টগার্ড গঠনের সূচনাতে দলটি ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকেই কোস্টগার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সাল থেকে আমরা আরও ব্যাপকভাবে উন্নয়নে কাজ করি। ২৭টি কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ ৫৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারে ৫৫টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেস নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।

নতুন এ ১০টি নৌযান যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোস্টগার্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে জানান শেখ হাসিনা। বিভিন্ন জলযান ও যুদ্ধ জাহাজ এখন বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আজকে যুক্ত হওয়া ১০টি নৌযানের মধ্যে পাঁচটি দেশের নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড ও খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে জাহাজের কমিশনিং ও বিসিজি বেইস ভোলার উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্ট গার্ড পূর্বাঞ্চলের বেইস স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নয়টি জাহাজের মধ্যে চারটি ইতালি থেকে কেনা হয়েছে। বাকি পাঁচটি তৈরি করা হয় নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা শিপইয়ার্ডে।

ইতালি থেকে কেনা চারটি অফশোর পেট্রোল ভেসেল হলো- বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল, বিসিজিএস তাজউদ্দিন, বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান।

দেশে তৈরী ভেসেলগুলো হলো বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা ও বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা।

এছাড়া দুটি ফাস্ট পেট্রোল বোট বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া আজ এ বাহিনীর বহরে যুক্ত হবে। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমানায় অতন্দ্র প্রহরীর কোস্ট গার্ডের যাত্রা শুরু হয়।