ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরগুনার আমতলীতে ফসলী জমিতে অবৈধ ইট ভাটার জ্বালানী কজে কাঠের ব্যবহার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১ ১৬ বার পড়া হয়েছে

আইন ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বরগুনার আমতলীতে চালিয়ে যাচ্ছে দুটি অবৈধ ইট ভাটা। অপরদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন যেন দেখেও দেখছেন না অবৈধ ভাবে স্থাপন করা এই ইটের ভাটা দুটি।

বরগুনা আমতলী উপজেলার দুটি জনবহুল এলাকা কুতুবপুর ও খাকদান এলাকায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তিন ফসলী কৃষি জমিতে অবৈধভাবে এ এম বি ও ফাইভষ্টার ব্রিকস নামে দুটি ইট ভাটা নির্মান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর এর গেজেটের নিয়ম অনুযায়ী ” ইট পোড়ানোর জন্য খনিজ কয়লা ব্যবহার করতে হবে, কাঠ পোড়ানো যাবে না” “কোন ফসলী জমিতে ইট ভাটা নির্মান করা যাবে না”এমন নিয়ম থাকলেও ইটভাটা দুটিতেই জ্বালানীর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। দুটি ভাটাতেই রয়েছে কাঠ কাটার স্ব-মিল এবং নির্মান করা হয়েছে তিন ফসলী জমিতে।

এলাকাবাসি বলেন, টাকা দিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ইটের ভাটা দুটি সচল রাখছেন ভাটার মালিকরা। এ এম বি ব্রিকসের দেখভালকারি চৌকিদার ইদ্রিস বলেন, মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এসে ভয়ভীতি দেখালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন না তারা।
ফাইভষ্টার ব্রিকস এর ম্যানেজার মোয়াজ্জেম বলেন, জেলা প্রশাসনের কার্যলয় থেকে কোন অনুমতি পত্র তাদের দেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, মাঝেমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন এসে সামান্য জরিমানা করে চলে যান।

ভাটায় যাওয়ার কথা অস্বীকার করে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ইট ভাটা দুটির মলিক বা স্থান চিনেন না তিনি। এসময় উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বরাদ দিয়ে ভিডিও স্বাক্ষাৎকার দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।.

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি, এসব অবধৈ ইট ভাটার বিরুদ্ধে আমরা অচিরেই অভিযানে যাব এবং এসব অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের গেজেটের শর্তাদি না মেনে সরকারি নিয়ম নীতির অবজ্ঞা করে অপরিকল্পিত ও অবৈধ ভাবে নির্মিত এইধরনের ইট ভাটার কারনে বিঘিœত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যতা। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারনে উজার হয়ে যাচ্ছে বনভূমি সেই সাথে নষ্ট করা হচ্ছে দুই ও তিন ফসলী কৃষি জমি।

রাসেল হাওলাদার,
বরগুনা প্রতিনিধি

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বরগুনার আমতলীতে ফসলী জমিতে অবৈধ ইট ভাটার জ্বালানী কজে কাঠের ব্যবহার

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

আইন ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বরগুনার আমতলীতে চালিয়ে যাচ্ছে দুটি অবৈধ ইট ভাটা। অপরদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন যেন দেখেও দেখছেন না অবৈধ ভাবে স্থাপন করা এই ইটের ভাটা দুটি।

বরগুনা আমতলী উপজেলার দুটি জনবহুল এলাকা কুতুবপুর ও খাকদান এলাকায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তিন ফসলী কৃষি জমিতে অবৈধভাবে এ এম বি ও ফাইভষ্টার ব্রিকস নামে দুটি ইট ভাটা নির্মান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর এর গেজেটের নিয়ম অনুযায়ী ” ইট পোড়ানোর জন্য খনিজ কয়লা ব্যবহার করতে হবে, কাঠ পোড়ানো যাবে না” “কোন ফসলী জমিতে ইট ভাটা নির্মান করা যাবে না”এমন নিয়ম থাকলেও ইটভাটা দুটিতেই জ্বালানীর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। দুটি ভাটাতেই রয়েছে কাঠ কাটার স্ব-মিল এবং নির্মান করা হয়েছে তিন ফসলী জমিতে।

এলাকাবাসি বলেন, টাকা দিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ইটের ভাটা দুটি সচল রাখছেন ভাটার মালিকরা। এ এম বি ব্রিকসের দেখভালকারি চৌকিদার ইদ্রিস বলেন, মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এসে ভয়ভীতি দেখালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন না তারা।
ফাইভষ্টার ব্রিকস এর ম্যানেজার মোয়াজ্জেম বলেন, জেলা প্রশাসনের কার্যলয় থেকে কোন অনুমতি পত্র তাদের দেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, মাঝেমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন এসে সামান্য জরিমানা করে চলে যান।

ভাটায় যাওয়ার কথা অস্বীকার করে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ইট ভাটা দুটির মলিক বা স্থান চিনেন না তিনি। এসময় উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বরাদ দিয়ে ভিডিও স্বাক্ষাৎকার দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।.

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি, এসব অবধৈ ইট ভাটার বিরুদ্ধে আমরা অচিরেই অভিযানে যাব এবং এসব অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের গেজেটের শর্তাদি না মেনে সরকারি নিয়ম নীতির অবজ্ঞা করে অপরিকল্পিত ও অবৈধ ভাবে নির্মিত এইধরনের ইট ভাটার কারনে বিঘিœত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যতা। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারনে উজার হয়ে যাচ্ছে বনভূমি সেই সাথে নষ্ট করা হচ্ছে দুই ও তিন ফসলী কৃষি জমি।

রাসেল হাওলাদার,
বরগুনা প্রতিনিধি