কর্মসূচিতে বাধা প্রদানকারীদের তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতি‌বেদক: দেশব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য একটি ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।

শনিবার (৩ জুন) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন,ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো.মাহবুবুর রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

কমিটির কাজ হলো— গায়েবি ও মিথ্যা মামলা, গুম-খুন,সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের তথ্যাদি সংগ্রহ করা। যেমন— সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিবর্গের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা। এই কমিটি সংগৃহীত তথ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে যথাসমীচীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তা সংরক্ষণ করবেন।

রিজভী বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশে ঘোর দুর্দিন নেমে এসেছে। দুঃশাসনের অরাজকতায় দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে খাদের কিনারে। ভয়ংকর অর্থ সংকটে মানুষের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে,অপরদিকে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা। নিদেনপক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর জন্যও বিদ্যুৎ মিলছে না। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিদ্যুতের পাশাপাশি চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। মিল-কল কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তথাকথিত কুইক রেন্টালের মালিকানা দলীয় লোকদের দিয়ে অবৈধ সরকার লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ করে দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা মো. আবদুর রহিম, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মাহবুব আলম, আকরামুল হাসান, তারিকুল আলম তেনজিং, কামরুজ্জামান দুলাল, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title