জমে উঠেছে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, জনমতে এগিয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী

এসএম আবু কাউসার,বিশেষ প্রতিনিধি : আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পেিরষদ নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরব পুরো ইউনিয়ন। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মিছিল, আলোচনা আর উঠান বৈঠক। চেয়ারম্যান ওসদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করা বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টারে ছেয়ে গেছে ইউনিয়নের প্রতিটি অলিগলি।

কে হচ্ছেন এই ইউনিয়নের নতুন চেয়ারম্যান সেটা নিয়ে চলছে ভোটারদের চুলচেরা হিসাবনিকাশ। তবে আলোচনায় ও মাঠ পর্যায়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালাউদ্দিন ভূইয়া। বিএনপির কোন প্রার্থী এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় দুজন মাত্র প্রার্থীর মাঝে অসাধারন ব্যক্তিগুন আর সর্বদা মানুষের পাশে থাকায় আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার ওপর আস্থা রাখছেন রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটাররা। জানা যায়, সম্পূর্ণ ইভিএম পদ্ধতিতে সারা দেশের মতরূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি নির্বাচনে রূপগঞ্জের রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ২ জন। একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সাধারন সদস্য হিসেবে ১ নং ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডে রিটন প্রধান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে জিন্নাত আক্তার, ৭,৮,৯ জাহানারা বেগম বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়। বর্তমানে সাধারন সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন আরো ২৭জন প্রার্থী। ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাঝে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতিক নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ছালাউদ্দিন ভূইয়া।বিএনপি এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো প্রার্থী প্রদান না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন আওয়ামীলীগ নেতা এড. কবির হোসেন।

গত নির্বাচনেও তিনি এ পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে পরাজিত হন। ভোটাররা জানান, চলতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত কয়েকবছর ধরেআওয়ামালীগ মনোনীত প্রার্থী ছালাউদ্দিন ভূইয়া পুরো ইউনিয়নের অলিগলি চষে বেড়িয়েছেন। ইউনিয়নবাসীর সুখে-দুখে সবসময় পাশে ছিলেন তিনি। ইউনিয়নেরবিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের সাব-মারসিবল পানির পাম্প স্থাপন, অসহায় মানুষদের সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজে তিনি সর্বদা নিবেদিত ছিলেন। এসব কারনে তিনি রয়েছেন তাদের পছন্দের শীর্ষে। ইউনিয়নের দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষচেয়ারম্যান হিসেবে ছালাউদ্দিন ভূইয়াকে পেতে নিরলস ভাবেকাজ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরযেটুকু উন্নয়ন হওয়ার কথা সে পরিমাণ উন্নয়ন হয়নি। রাজধানীর পাশে পূর্বাচল উপশহরের মধ্যে গড়ে উঠা ইউনিয়ন হিসেবে যেটুকু আধুনিকতার ছোয়া লাগার দরকার তার সামান্য পরিমান ছোয়াও লাগেনি এ ইউনিয়নে।একটি আধুনিক বাসযোগ্য ইউনিয়ন হিসেবে রূপগঞ্জকে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছালাউদ্দিন ভূইয়া ভোটারদের ভোট প্রার্থনা করছেন। এ কারনে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ভোটাররা এবার ছালাউদ্দিন ভূইয়াকে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যাশা করছেন। জনমতেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছেনতিনি। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মশিউর রহমান তারেক বলেন, বিগত সময়ে আমরা ভালো কোনো প্রার্থী পাইনি। এমনকি দলীয়ভাবে কাউকে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেয়া হয়নি। এ কারণে আমাদের এলাকার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এবার দলীয়ভাবে আওয়ামীলীগ থেকে চেয়াম্যান প্রার্থী দেয়া হয়েছে। এছাড়া এখন আমাদের এলাকার মানুষ সচেতন হয়েছে। আমরা এলাকার উন্নয়ন চাই। এবার আমাদেরইউয়িনের উন্নয়নের জন্য আমরা ছালাউদ্দিন ভূইয়াকে দলমতের ঊর্ধ্বে চেয়ারম্যান হিসেবে চাই। কারণ তারমধ্যে এলাকার উন্নয়ন ওমানুষের সেবা করার মনোভাব রয়েছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ছালাউদ্দিন ভূইয়া বলেন বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার যেভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। সে অনুপাতে বিগত সময়ে আমাদের ইউনিয়নে কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি তবে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করে একটি আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে রূপগঞ্জকে গড়ে তুলবো।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সম্পূর্ন ইভিএম পদ্ধতিতে এ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে এ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন নতুন হওয়ায় আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি সকল ভোটারদের শিখানোর কাজ সম্পন্ন করেছি। আশা করি অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার পারবো। উল্লেখ্য, রূপগঞ্জ ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৯০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৬৯ জন ও মহিলা ভোটার ১৭ হাজার ৪২১ জন। ভোট কেন্দ্র মোট ১৭টি ও ভোট কক্ষ ১১৪টি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title