নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে ফের হুমকি ট্রাম্পের

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : আগামীকাল ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রাক নির্বাচনী জরিপে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন রিপাবলিকান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন। যার কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে আগাম বৈধ ব্যবস্থা নিবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেনিসিলভানিয়া ও নাভাডা রাজ্যের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। তার মতে, এই দুই রাজ্যের গভর্নর ডেমোক্র্যাটিক। তারা ভোট গণনায় কারচুপি করতে পারেন। তাছাড়া রাজ্য দুইটির ভোটররা এখন পর্যন্ত ভাসমান। তাদের কোন প্রার্থীকে ভালো লেগেছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

ট্রাম্প বলেন, সুপ্রিম কোর্ট পেনিসিলভানিয়া রাজ্যে ভোট গণনার সময় দিয়েছে তিনদিন। আমার মতে ভোট প্রদানের পর এতো সময় পর্যন্ত ভোট গণনার বিধান রাখা ভয়ঙ্কর। আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ল স্কুলের অধ্যাপক নেট পারসিলি বলেন, পেনিসিলভানিয়া ও নাভাডার ভোটাররা গত ১০০ বছর ধরে ভাসমান ভোটার হিসেবেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এদেরকে বলা হয় সুইং স্টেট ভোটার। মার্কিন নির্বাচনে এই সুইং রাষ্ট্রের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । গতবার পেনিসিলভানিয়া ও নাভাডার ভোটাররা ট্রাম্পকে নির্বাচিত করেছেন। এবার কাকে করছেন বলা যায় না।

সিএনএনের ভোটের হিসাব বলছে, বাইডেনের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে এমন রাজ্যগুলোতে ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে ২৯০টি এবং ট্রাম্প জিততে পারেন এমন রাজ্যে রয়েছে ১৬৩টি ইলেক্টোরাল ভোট। এ অবস্থায় সুইং স্টেটগুলোতে অবশ্যই ট্রাম্পকে জিততে হবে। সেই হিসাব কষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

কিন্তু সর্বশেষ জরিপে বেশির ভাগ সুইং স্টেটেই এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন।

সিএনএন বলছে, এবার পেনিসিলভানিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনে জয় পেতে পারেন বাইডেন। একই সঙ্গে রিপাবলিকানদের ঘাঁটি টেক্সাসে এবার জয় পেতে পারেন তিনি।

টেক্সাস রাজ্যের ডেমোক্র্যাটদের দাবি, জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ট্রিবিউনও এই রাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের বিজয়ী হওয়ার আভাস দিয়েছে। টেক্সাসে ৩৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে, যা রাজ্য হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই রাজ্যে হারলে নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানো ট্রাম্পের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট হতে হলে টেক্সা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title