ফরিদপুর ভাঙ্গায় পথচারীদের সচেতনা করতে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের হাত ধোয়া কর্মসূচি

ফরিদপুর :: করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইমারত নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী হাত ধৌত কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনের সদস্যরা। আজ সকালে ভাঙ্গা পৌরসভার চাররাস্তা মোড় থেকে শুরু করে পুরাতন পৌর ভবন ও কাঁচাবাজার এলাকার তিনটি স্থানে ভাঙ্গা শহরে আসা সকল পথচারীদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার এই কার্যক্রম পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ, সদস্য গিয়াস মুন্সী, ইখলাস মিয়া, তুশার মুন্সীসহ সংগঠনের অন্যান্যেরা।

প্রসঙ্গত কারনে উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়ে বেলা একটা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলার নির্দেশনা এবং দূরত্ব বজায় রেখে সাধারণ জনগণকে বজায় চলতে বলা হলেও ভাঙ্গায় তার কোন বালাই মানছেন না স্থানীয় জনগণ। পাশাপাশি উপজেলার বাজারপাড় যেন সাধারণ মানুষের জন্য একটি মিলন মেলায় পরিণীত। ভাঙ্গা শহর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন যানবাহন ভাঙ্গা কলেজ পাড়, হাসপাতাল মোড়, চণ্ডীদাসদী, বিশ্বরোড মোড়, ভাঙ্গা পৌরসভার চাররাস্তা মোড় হয়ে অনায়েসে শহরের ভীতরে প্রবেশ করছে। এর ফলে ভাঙ্গার সচেতন নাগরিক সমাজের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এই ক্ষেত্রে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে রাত দিন সমানতলে প্রতিনিয়ত মাঠে  থাকার পরেও কিছুতেই যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠছে ভাঙ্গার সাধারণ জনগণ।

এছাড়াও সন্ধ্যা ৬টার পরে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারন জনগণের জন্য সম্পূর্ণ নিষেধ। কিন্তু ভাঙ্গা পৌরসভার মধ্যে ৬টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে চালকসহ ২জন/৩জন করে রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে। বিশেষ করে মুকসেদপুর ও নগরকান্দার ইজিবাইকগুলো প্রতিদিন ভাঙ্গায় আসা-যাওয়া করছে। ভাঙ্গা উপজেলার পাশের দুটি উপজেলার মধ্যে মুকসেদপুর থানা পুলিশ সদস্যরা করোনাভাইরাসে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। নগরকান্দার উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজন করোনা সনাক্ত হয়েছে। নগরকান্দার উপজেলা প্রশাসন থেকে লক ডাউন ঘোষণা করার সেই খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় ভাঙ্গার জনগণ বিশেষ করে ভাঙ্গা পৌরসভার নাগরিকরা আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।

পাশাপাশি গতকাল ১৪ এপ্রিল দুপুরে ভাঙ্গা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড পশ্চিম হাসামদিয়া গ্রামের চারটি বাড়ির সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। লাল পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখিত বাড়িগুলতে। ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন সূত্র থেকে জানা যায়, চার পরিবারের সদস্যদের তিনজন ঢাকা থেকে এবং একটি পরিবারের দুজন ভাঙ্গা উপজেলার পাশের থানা শিবচর থেকে জামাই বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। করোনা সংক্রমিত বা কোন উপসর্গও তাদের দেখা না দিলেও  মানুষের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি হয় না হয় এজন্য প্রাথমিকভাবে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিবারগুলোকে।

এদিকে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গায় প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৭ শতাধীক মানুষ অবস্থান করছেন। তাদের অনেকেই রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টে। অনেকেই তা না মেনে চুপিসারে ঘর থেকে বের হয়ে আসছেন। এজন্য প্রশাসন শুধু নয় জনগনকে সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতে হবে অভিমত এলাকার অভিজ্ঞমহলের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title