ফেনীতে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে একজন জনপ্রতিনিধি ও সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন বাবু। মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১০ অক্টোবর একটি গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী বাবলু নামে এক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক সিএন্ডএফ লাইসেন্স, জমি, ফ্ল্যাট ও চেক আদায় করি মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি আদৌ সত্য নয়।
তিনি বলেন, একটি মহল আমার সুনামে ঈষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। যা বাস্তবের সাথে কোন সর্ম্পক নেই। বাস্তবতা হলো নজরুল ইসলাম বাবলু আমার বন্ধু হয়। তার ভগ্নিপতি বাদল চৌধুরী “ফ্লিম কেয়ার লিঃ” এ কাস্টমস্ ও জেডি সরকার হিসেবে কর্মরত ছিল। এছাড়া তার ভগ্নিপতি তার নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটা ফ্ল্যাটও কিনে দেন। এরপরও সে তার ভগ্নিপতির সরলতার সুযোগে অসদুপায় অবলম্ভন করে কয়েক বছরের মধ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বাবলু তার ভগ্নিপতিকে এগিড়ে চলে।
এমতাবস্থায় ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বাড়ীতে শুসেন চন্দ্র শীল ও ফুলগাজীর আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে বাদল চৌধুরী ও বাবলুর মধ্যে একটি আপোষ মিমাংসা হয়। ৩ কোটি টাকা বাবলু তার ভগ্নিপতি বাদল চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক নগদ টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় বাবলু তার নামীয় বসুন্ধরা রিভার ভিউতে ৬ কাঠা জমি, অফিস থেকে যে ফ্ল্যাটটি কেনা হয় ও তার ভগ্নিপতির করা এসএ বাদল নামীয় সিএন্ডএফ লাইসেন্সটি ফেরতের সিদ্ধান্ত হয়।
এর মধ্যে ১টি ফ্ল্যাট ও জমির দাম ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদল চৌধুরী জমা দেন। এটি বাবলু গ্রহণও করে। ১৮ জুন বাবলু স্বেচ্ছায় কেরানীগঞ্জে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, সবকিছু ঠিকঠাক মত হলেও একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় বাবলু আমাকে জড়িয়ে অপহরণের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদে আমিও কয়েকজন সহযোগীসহ তাকে ১৭ তারিখে অপহরণ করে ফেনী থেকে ঢাকা নিয়ে যাই। কিন্তু ঘটনার দিন সে ঢাকায় অবস্থান করে যার মোবাইল লোকেশন আমার হাতে রয়েছে।
এই অবস্থায় এমন মিথ্যা ও আমার সম্মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title