যারা ভাসমান, ঘর নেই, খোলা আকাশের নিচে বসবাস তাদের কাছে ত্রাণ সাহায্য পৌঁছে দিন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যারা ভাসমান, ঘর নেই, খোলা আকাশের নিচে বসবাস করেন তাদের খুঁজে খুঁজে তালিকা করে ঈদের আগেই ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করব, অনেকেই আছেন যাদের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া বাস্তবেই সম্ভব নয়। কারণ তাদের ঘর নেই, অনেকেই ভাসমান। তাদের মধ্যে অনেক অসহায় শিশু আছে। অনেক বয়স্ক অসহায় মানুষ আছে। খুঁজে খুঁজে তালিকা করে ঈদের আগেই তাদের ত্রাণ সাহায্যের ব্যবস্থা করবেন। এটা আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ।

শনিবার (১৬ মে) তার সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন

করোনা সংকটে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, সরকারি উদ্যোগে অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ১ কোটির বেশি পরিবার তথা প্রায় পৌনে ৫ কোটি মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা পৌঁছে গেছে। তাছাড়া ৬৪ জেলায় এক লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ করা হয়েছে। ৮৫ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শিশু খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এক কোটি মানুষের রেশনের আওতায় আনাসহ ৫০ লাখ মানুষকে ঈদের আগে নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ সহতায় কার্যক্রমে তালিকা প্রণয়ন তথা প্রণোদনা কার্যক্রমে কোনোরূপ অনিয়ম সরকার বরদাস্ত করবে না। ত্রাণ কার্যক্রমে সরকারের স্বচ্ছতা অগ্রাধিকারের অঙ্গীকার। যেই অনিয়ম করবে দলীয় পরিচয়ের কেউ হলেও ছাড় দেওয়া হবে না।

ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে কোনো ধরনের অনিয়ম সরকার বরদাস্ত করবে না হুশিয়ার দিয়ে তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণে যারা অনিয়ম করবেন তারা দলীয় লোক হলেও রেহাই পাবেন না।

ঈদকে সামনে রেখে মানুষের শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার প্রবণতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে আশঙ্কা করে শপিংমল ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রকারান্তরে নিজেদের এবং চারপাশের মানুষের জীবনের গভীর অমানিশা ডেকে আনবেন। এভাবে চলতে থাকলে দুর্যোগের অন্ধকারাচ্ছন্ন অতিক্রমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

করোনা সংকটে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, সরকারি উদ্যোগে অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ১ কোটির বেশি পরিবার তথা প্রায় পৌনে ৫ কোটি মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা পৌঁছে গেছে। তাছাড়া ৬৪ জেলায় এক লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ করা হয়েছে। ৮৫ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শিশু খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এক কোটি মানুষের রেশনের আওতায় আনাসহ ৫০ লাখ মানুষকে ঈদের আগে নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ সহতায় কার্যক্রমে তালিকা প্রণয়ন তথা প্রণোদনা কার্যক্রমে কোনোরূপ অনিয়ম সরকার বরদাস্ত করবে না। ত্রাণ কার্যক্রমে সরকারের স্বচ্ছতা অগ্রাধিকারের অঙ্গীকার। যেই অনিয়ম করবে দলীয় পরিচয়ের কেউ হলেও ছাড় দেওয়া হবে না।

ভিডিও কনফারেন্সে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title