ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অভিযোগে বীরগঞ্জে ৪টি ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা25 ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত না হতে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কতা25 এক মাস পর কাজে ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া25 কুমারখালীতে পার্টনার কংগ্রেস সমাবেশ অনুষ্ঠিত25 আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’অভিযোগ তুললেন ইশরাক25 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর অফিস যেন টর্চার সেল ‘আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে’25 গিভিংটুইসডে মুভমেন্টের কমিউনিটি ডিরেক্টর হলেন হাসান মাহামুদ ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ঢাকা সহ ১৭ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস: আবহাওয়ার সতর্কতা ও পূর্বাভাস

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচন, চলছে ভোটগ্রহণ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচন, চলছে ভোটগ্রহণ
অস্ট্রেলিয়ার ৪৮তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ১৫০টি আসনের সবকটিতে এবং সিনেটের ৭৬টি আসনের ৪০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে লেবার পার্টি ও লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের মাঝে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এবিসির তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় সরকার গঠন করতে হলে দরকার হয় ৭৬টি আসন। সংখ্যায় সহজ মনে হলেও বাস্তবে পরিস্থিতি বেশ জটিল।

স্বাধীন প্রার্থী ও ছোট দলের প্রতি সম্প্রতি ভোটারদের সমর্থন বাড়ায় প্রধান দুই দলের জন্যই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পথ।
বর্তমান লেবার পার্টির সরকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। অপরদিকে, এক মেয়াদে বিরোধী দল হিসেবে থাকা লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন আবারও পিটার ডাটনের ওপর আস্থা রেখে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে।

বর্তমান লেবার পার্টি সরকারের হাতে আছে ৭৮টি আসন।

আজকের নির্বাচনে যদি তারা এসব আসন ধরে রাখতে পারে, তাহলে আবারও তাদের পক্ষে সরকার গঠন সম্ভব। অন্যদিকে, কোয়ালিশন বা কনজারভেটিভ জোটের হাতে এখন আছে মাত্র ৫৭টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার আরো ১৯টি। তাই নির্বাচনে জয়ের জন্য তাদের নজর এখন বড় শহরগুলোর দিকে।

উভয় দলই নাগরিকদের জন্য নানা সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারে। লেবার পার্টির আলবানিজ কর কমানো, চিকিৎসা ব্যয় কমানোসহ প্রথম বাড়ি কেনার বিষয়ে নাগরিকদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কোয়ালিশনের নেতৃত্ব দেওয়া ডাটন জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে তিনি জ্বালানির ওপর আরোপিত কর ও গ্যাসের দাম কমাবেন।

ভোটারদের আকর্ষণে শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয়েই সীমাবদ্ধ নয়, দুই দলের নির্বাচনী প্রচারণা। উভয় পক্ষকেই লড়তে হচ্ছে মার্কিন নীতির বিপক্ষে।

অস্ট্রেলিয়ার ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে ট্রাম্পবিরোধী শক্ত অবস্থান ছাড়া ভোটারদের মন জয় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই।
এদিকে, স্বাধীন প্রার্থী ও ছোট দলের জনপ্রিয়তা বাড়ায় কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে বড় দুটি দলকে। ব্রিসবেনে গ্রিন পার্টির বিরুদ্ধে লড়তে হবে লেবার পার্টিকে। অপরদিকে, মেলবোর্ন ও সিডনিতে ‘টিল’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোকাবিলা করতে হবে কোয়ালিশনকে।

আজ রাতেই জানা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনের ফলাফল। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসির প্রধান নির্বাচন বিশ্লেষক অ্যান্টনি গ্রিন বলেন, ‘যদি ফল অনুমানযোগ্য হয়, তাহলে আপনি অস্ট্রেলিয়ান সময় ১৯:৩০-এর দিকে নির্বাচনের বিজয়ী পেয়ে যাবেন।’

এবারের নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ায় মোট এক কোটি ৮১ লাখ নথিভুক্ত ভোটার আছে। দেশটিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো কারণে ভোট না দিলে গুনতে হয় ২০ অস্ট্রেলীয় ডলার (১৩ মার্কিন ডলার) জরিমানা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচন, চলছে ভোটগ্রহণ

আপডেট সময় : ১২:১৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচন, চলছে ভোটগ্রহণ
অস্ট্রেলিয়ার ৪৮তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ১৫০টি আসনের সবকটিতে এবং সিনেটের ৭৬টি আসনের ৪০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে লেবার পার্টি ও লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের মাঝে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এবিসির তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় সরকার গঠন করতে হলে দরকার হয় ৭৬টি আসন। সংখ্যায় সহজ মনে হলেও বাস্তবে পরিস্থিতি বেশ জটিল।

স্বাধীন প্রার্থী ও ছোট দলের প্রতি সম্প্রতি ভোটারদের সমর্থন বাড়ায় প্রধান দুই দলের জন্যই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পথ।
বর্তমান লেবার পার্টির সরকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। অপরদিকে, এক মেয়াদে বিরোধী দল হিসেবে থাকা লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন আবারও পিটার ডাটনের ওপর আস্থা রেখে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে।

বর্তমান লেবার পার্টি সরকারের হাতে আছে ৭৮টি আসন।

আজকের নির্বাচনে যদি তারা এসব আসন ধরে রাখতে পারে, তাহলে আবারও তাদের পক্ষে সরকার গঠন সম্ভব। অন্যদিকে, কোয়ালিশন বা কনজারভেটিভ জোটের হাতে এখন আছে মাত্র ৫৭টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার আরো ১৯টি। তাই নির্বাচনে জয়ের জন্য তাদের নজর এখন বড় শহরগুলোর দিকে।

উভয় দলই নাগরিকদের জন্য নানা সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারে। লেবার পার্টির আলবানিজ কর কমানো, চিকিৎসা ব্যয় কমানোসহ প্রথম বাড়ি কেনার বিষয়ে নাগরিকদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কোয়ালিশনের নেতৃত্ব দেওয়া ডাটন জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে তিনি জ্বালানির ওপর আরোপিত কর ও গ্যাসের দাম কমাবেন।

ভোটারদের আকর্ষণে শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয়েই সীমাবদ্ধ নয়, দুই দলের নির্বাচনী প্রচারণা। উভয় পক্ষকেই লড়তে হচ্ছে মার্কিন নীতির বিপক্ষে।

অস্ট্রেলিয়ার ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে ট্রাম্পবিরোধী শক্ত অবস্থান ছাড়া ভোটারদের মন জয় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই।
এদিকে, স্বাধীন প্রার্থী ও ছোট দলের জনপ্রিয়তা বাড়ায় কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে বড় দুটি দলকে। ব্রিসবেনে গ্রিন পার্টির বিরুদ্ধে লড়তে হবে লেবার পার্টিকে। অপরদিকে, মেলবোর্ন ও সিডনিতে ‘টিল’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোকাবিলা করতে হবে কোয়ালিশনকে।

আজ রাতেই জানা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনের ফলাফল। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসির প্রধান নির্বাচন বিশ্লেষক অ্যান্টনি গ্রিন বলেন, ‘যদি ফল অনুমানযোগ্য হয়, তাহলে আপনি অস্ট্রেলিয়ান সময় ১৯:৩০-এর দিকে নির্বাচনের বিজয়ী পেয়ে যাবেন।’

এবারের নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ায় মোট এক কোটি ৮১ লাখ নথিভুক্ত ভোটার আছে। দেশটিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো কারণে ভোট না দিলে গুনতে হয় ২০ অস্ট্রেলীয় ডলার (১৩ মার্কিন ডলার) জরিমানা।