ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট, টার্গেট নারী রাজনীতিবিদরা সিএসএস প্রতিষ্ঠাতা রেভা. পলমুন্সী স্মরণে ভেড়ামারাতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অস্ত্রোপচার করাবেন বেলিংহ্যাম – মাঠের বাইরে যাচ্ছেন কতদিন? যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু ইরাকের ৩ সামরিক ঘাঁটি ও বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হামলা25 দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ  কুমারখালীতে স্কাউটস কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত ঘুমের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি25

ইয়াসের প্রভাবে বরগুনায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১ ১৯ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হাওলাদার, বরগুনা প্রতিনিধি :ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে বরগুনার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায়া চরম বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার হাজারো মানুষ। স্বল্প উচ্চতার বেড়িবাঁধের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ও নাজুক বাঁধের কারণে এসব এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এছাড়া উঁচু জোয়ারের কারণে বরগুনার বাইনচটকি, বড়ইতলা ও পুরাকাটা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কসহ গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে বরগুনার পশ্চিম গুলবুনিয়া, বড়ইতলা এবং ঢালভাঙা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার নদীর তীরের লোকালয় স¤পূর্ণ তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ভেসে গেছে এসব এলাকার বেশ কিছু পুকুরের মাছ।

পাথরঘাটা পূর্ব রুপদোন এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুল হক বলেন, এই এলাকায় জোয়ারের চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে পড়েছে। সেই পানির চাপে তার বসবাসের ঘরটিও ভেঙে গেছে।

বড়ইতলা এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই এলাকায় বাঁধ বলতে কিছু নেই। বেশি উচ্চতার জোয়ারে আমাদের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়া। প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার হাজারো মানুষের ঘরে আজ রান্না হবে না বলেও জানান তিনি।

পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম আলী বলেন, বরগুনা জেলার মধ্যে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পদ্মা এলাকা। এখানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। জিও ব্যাগ দিয়ে এখানে নদীর পানির প্রবাহ প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। এখান থেকে লোকালয় পানি প্রবেশ করে অন্তত সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে ফসলের মাঠসহ পুকুর ও মাছের ঘের।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বরগুনা জেলায় ২২টি পোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে জেলার ২৯ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, বরগুনার নদ-নদীতে আজ ৩.৩২ মিটার উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে। যা বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপরে।

এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৯ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। উঁচু জোয়ারের কারণে এসব বাঁধ দিয়ে লোকালয় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও উচু জোয়ারের কারণে বাঁধের বাইরের এলাকাগুলোও প্লাবিত হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইয়াসের প্রভাবে বরগুনায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

আপডেট সময় : ০১:০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

রাসেল হাওলাদার, বরগুনা প্রতিনিধি :ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে বরগুনার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায়া চরম বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার হাজারো মানুষ। স্বল্প উচ্চতার বেড়িবাঁধের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ও নাজুক বাঁধের কারণে এসব এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এছাড়া উঁচু জোয়ারের কারণে বরগুনার বাইনচটকি, বড়ইতলা ও পুরাকাটা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কসহ গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে বরগুনার পশ্চিম গুলবুনিয়া, বড়ইতলা এবং ঢালভাঙা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার নদীর তীরের লোকালয় স¤পূর্ণ তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ভেসে গেছে এসব এলাকার বেশ কিছু পুকুরের মাছ।

পাথরঘাটা পূর্ব রুপদোন এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুল হক বলেন, এই এলাকায় জোয়ারের চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে পড়েছে। সেই পানির চাপে তার বসবাসের ঘরটিও ভেঙে গেছে।

বড়ইতলা এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই এলাকায় বাঁধ বলতে কিছু নেই। বেশি উচ্চতার জোয়ারে আমাদের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়া। প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার হাজারো মানুষের ঘরে আজ রান্না হবে না বলেও জানান তিনি।

পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম আলী বলেন, বরগুনা জেলার মধ্যে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পদ্মা এলাকা। এখানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। জিও ব্যাগ দিয়ে এখানে নদীর পানির প্রবাহ প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। এখান থেকে লোকালয় পানি প্রবেশ করে অন্তত সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে ফসলের মাঠসহ পুকুর ও মাছের ঘের।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বরগুনা জেলায় ২২টি পোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে জেলার ২৯ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বলেন, বরগুনার নদ-নদীতে আজ ৩.৩২ মিটার উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে। যা বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপরে।

এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৯ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। উঁচু জোয়ারের কারণে এসব বাঁধ দিয়ে লোকালয় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও উচু জোয়ারের কারণে বাঁধের বাইরের এলাকাগুলোও প্লাবিত হয়েছে।