ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন1 এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব, নির্বাচন নিয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার বিদায় নেবে।

 এরপর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবে অন্তর্বর্তী সরকার—এমন স্পষ্ট বার্তা দিলেন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সরকারের, রাজনৈতিক দলের নয়। আর এ দায়িত্ব পালনে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব

অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান, নির্বাচনের সময়সীমা, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সরকারের অনড় অবস্থান এবং নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের কাজটা রাজনৈতিক দলের না, এটা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সেই অনুযায়ী সরকার প্রতিটি ধাপ সুচারুভাবে অনুসরণ করছে। আমাদের পরিকল্পনায় স্পষ্টভাবে ফেব্রুয়ারিকে লক্ষ্য করে এগোনো হচ্ছে। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করব এবং তারপর আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব শেষ করব।”

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব

জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে—এমন ঘোষণার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এবং নির্বাচন শেষে অন্তর্বর্তী সরকার নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “নির্বাচনের দায়িত্ব সরকারের, রাজনৈতিক দলের নয়। সরকার এই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। আমাদের সব পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়েছে। আমরা মাথায় রেখেই কাজ করছি যে, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে এবং তারপর আমরা সরে দাঁড়াব।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের করণীয়গুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তাই আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা।”

এ সময় তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দলীয় বক্তব্য নিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক দল বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথা বলে থাকে। এটা রাজনীতিরই একটি স্বাভাবিক প্রবাহ। বাংলাদেশে ট্র্যাডিশনালি রাজনৈতিক কথাবার্তা এমনভাবেই চলে আসছে। এখনো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে সরকার তার দায়িত্ব থেকে এক চুলও নড়বে না।”

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) একজন বিশ্বখ্যাত, সর্বজনস্বীকৃত নন্দিত ব্যক্তিত্ব। তিনি নিজেই স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন শেষে এই সরকার বিদায় নেবে। তার এই ঘোষণা থেকে আমরা একচুলও সরে আসব না।”

নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের প্রসঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কিছু সুপারিশ পাওয়া গেছে। এই সুপারিশগুলোর আলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করা হবে।”

তিনি জানান, “আইন প্রণয়নের কাজ আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। সংসদীয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত বিল উত্থাপন, সংশোধন এবং আইন পাসের কাজ সম্পন্ন করব। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাঠামো আরও শক্তিশালী ও জনবান্ধব হবে।”

রাজনৈতিক অঙ্গনে যেখানে নির্বাচনের সময়সীমা, সরকারের অবস্থান ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলমান, সেখানে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন স্পষ্ট ও অনড় বার্তা দেশবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে।

“সংসদে বিল উত্থাপন, সংশোধনী গ্রহণ এবং চূড়ান্ত আইন প্রণয়ন এই প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে,” জানান তিনি। “আজ থেকেই আমরা সেই কাজ শুরু করছি। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত ও নন্দিত একজন ব্যক্তিত্ব। উনি নিজেই নির্বাচন এবং সরকারে থাকা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। তার ঘোষণার পর আমরা একচুলও পিছু হটার চিন্তা করছি না।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার যে নির্বাচন আয়োজন এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে প্রস্তুত রয়েছে, তা পুনর্ব্যক্ত করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, আসন্ন নির্বাচনের জন্য এমন স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা দেশবাসীর মধ্যে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

দেশবাসী এখন অপেক্ষা করছে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার এবং দেখার, কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘোষণা আগামী নির্বাচনের প্রতি জনগণের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বাড়াবে। একই সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলোকেও নির্বাচনমুখী করে তুলতে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন, যার মূল কাজ হচ্ছে পরবর্তী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করা।

অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বক্তব্য অনুযায়ী, এই সরকার নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে সম্পূর্ণ সচেতন এবং কোনো প্রকার বিভ্রান্তিকর রাজনীতি কিংবা চাপের কাছে মাথা নত না করে এগিয়ে যেতে চায়।

নির্বাচন নিয়ে যখন নানা ধরনের বক্তব্য ও সংশয় ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে, তখন সরকারের এমন স্পষ্ট অবস্থান জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। আইন উপদেষ্টার ঘোষণা শুধু একটি তারিখ নয়, এটি একটি আশ্বাস—একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন1 এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব, নির্বাচন নিয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার বিদায় নেবে।

 এরপর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবে অন্তর্বর্তী সরকার—এমন স্পষ্ট বার্তা দিলেন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সরকারের, রাজনৈতিক দলের নয়। আর এ দায়িত্ব পালনে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব

অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান, নির্বাচনের সময়সীমা, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সরকারের অনড় অবস্থান এবং নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের কাজটা রাজনৈতিক দলের না, এটা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সেই অনুযায়ী সরকার প্রতিটি ধাপ সুচারুভাবে অনুসরণ করছে। আমাদের পরিকল্পনায় স্পষ্টভাবে ফেব্রুয়ারিকে লক্ষ্য করে এগোনো হচ্ছে। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করব এবং তারপর আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব শেষ করব।”

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব

জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে—এমন ঘোষণার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এবং নির্বাচন শেষে অন্তর্বর্তী সরকার নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “নির্বাচনের দায়িত্ব সরকারের, রাজনৈতিক দলের নয়। সরকার এই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। আমাদের সব পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়েছে। আমরা মাথায় রেখেই কাজ করছি যে, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে এবং তারপর আমরা সরে দাঁড়াব।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের করণীয়গুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তাই আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা।”

এ সময় তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দলীয় বক্তব্য নিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক দল বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথা বলে থাকে। এটা রাজনীতিরই একটি স্বাভাবিক প্রবাহ। বাংলাদেশে ট্র্যাডিশনালি রাজনৈতিক কথাবার্তা এমনভাবেই চলে আসছে। এখনো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে সরকার তার দায়িত্ব থেকে এক চুলও নড়বে না।”

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) একজন বিশ্বখ্যাত, সর্বজনস্বীকৃত নন্দিত ব্যক্তিত্ব। তিনি নিজেই স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন শেষে এই সরকার বিদায় নেবে। তার এই ঘোষণা থেকে আমরা একচুলও সরে আসব না।”

নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের প্রসঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কিছু সুপারিশ পাওয়া গেছে। এই সুপারিশগুলোর আলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করা হবে।”

তিনি জানান, “আইন প্রণয়নের কাজ আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। সংসদীয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত বিল উত্থাপন, সংশোধন এবং আইন পাসের কাজ সম্পন্ন করব। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাঠামো আরও শক্তিশালী ও জনবান্ধব হবে।”

রাজনৈতিক অঙ্গনে যেখানে নির্বাচনের সময়সীমা, সরকারের অবস্থান ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলমান, সেখানে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন স্পষ্ট ও অনড় বার্তা দেশবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে।

“সংসদে বিল উত্থাপন, সংশোধনী গ্রহণ এবং চূড়ান্ত আইন প্রণয়ন এই প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে,” জানান তিনি। “আজ থেকেই আমরা সেই কাজ শুরু করছি। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত ও নন্দিত একজন ব্যক্তিত্ব। উনি নিজেই নির্বাচন এবং সরকারে থাকা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। তার ঘোষণার পর আমরা একচুলও পিছু হটার চিন্তা করছি না।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার যে নির্বাচন আয়োজন এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে প্রস্তুত রয়েছে, তা পুনর্ব্যক্ত করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, আসন্ন নির্বাচনের জন্য এমন স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা দেশবাসীর মধ্যে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

দেশবাসী এখন অপেক্ষা করছে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার এবং দেখার, কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘোষণা আগামী নির্বাচনের প্রতি জনগণের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বাড়াবে। একই সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলোকেও নির্বাচনমুখী করে তুলতে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন, যার মূল কাজ হচ্ছে পরবর্তী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করা।

অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বক্তব্য অনুযায়ী, এই সরকার নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে সম্পূর্ণ সচেতন এবং কোনো প্রকার বিভ্রান্তিকর রাজনীতি কিংবা চাপের কাছে মাথা নত না করে এগিয়ে যেতে চায়।

নির্বাচন নিয়ে যখন নানা ধরনের বক্তব্য ও সংশয় ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে, তখন সরকারের এমন স্পষ্ট অবস্থান জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। আইন উপদেষ্টার ঘোষণা শুধু একটি তারিখ নয়, এটি একটি আশ্বাস—একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।