গাজার ত্রাণবহরের আটক সব বিদেশি কর্মীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল

- আপডেট সময় : ১২:৩০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / 17
অনলাইন ডেস্ক: গাজাগামী একটি ত্রাণবহর থেকে ইসরায়েলের হাতে আটক সব বিদেশি কর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের একটি আইনি কেন্দ্র রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
‘আদাহ লিগ্যাল সেন্টার’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘থাউজেন্ডস ম্যাডলিনস ফ্লোটিলা’ এবং ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের কনশেন্স মিশন’-এর সব অংশগ্রহণকারীকে ইসরায়েলের অবৈধ আটকাবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে ইসরায়েলের জিম্মায় আর কেউ নেই।
কেন্দ্রটি আরও জানায়, রবিবার ভোরে কয়েক ডজন কর্মীকে জর্ডানের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া দুজন হলেন হুওয়াইদা আরাফ এবং জোহার রেগেভ, যারা উভয়েই ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে ‘ফৌজদারি অভিযোগের’ সন্দেহ থাকলেও কোনো অভিযোগপত্র ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জর্ডান রবিবার সকালে জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জর্ডানের মধ্যবর্তী কিং হুসেইন (অ্যালেনবি) সেতু ক্রসিং দিয়ে ৪৫ জন কর্মী দেশটিতে পৌঁছেছেন। বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মীদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া কর্মীদের মধ্যে তিউনিসিয়া, স্পেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নাগরিকরা রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজায় আরোপিত অবৈধ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) ৯টি নৌকার একটি বহরে হামলা চালায় এবং জাহাজে থাকা প্রায় ১৫০ জন কর্মীকে আটক করে। দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েল এর আগেও গাজাগামী বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে, তাদের মালামাল জব্দ করেছে এবং জাহাজে থাকা কর্মীদের ফেরত পাঠিয়েছে।
২০২৩ সালের বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ওই ছিটমহলে ৬৭,৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই হামলার ফলে গাজা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে ছিটমহলটিতে দুই বছরের ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শুক্রবার গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছে।