ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

বরিশাল বিভাগে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে সর্বোচ্চ সংখ্যা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল বিভাগে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে রোগী দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩০৩ জনে। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে রয়েছেন ২ হাজার ২৭৫ জন, যা মোট আক্রান্তের ৪২ শতাংশ।

এদিকে, এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে ২৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। শনাক্তদের মধ্যে ২৬১ জনই বরিশাল বিভাগের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জানুয়ারিতে মশা জরিপ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। জরিপে বরিশাল বিভাগে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করলেও মশা নিধনে পদক্ষেপ দেখা যায়নি সংশ্লিষ্টদের। ফলে এ বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যমতে, বিভাগের মধ্যে ৭৯ জন ভর্তি বরগুনার হাসপাতালে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তাসকিয়া সিদ্দিকী জানান, তাদের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বুধবার পর্যন্ত ৭২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি। জেলার বামনা উপজেলা হাসপাতালে চার ও পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে আছেন তিনজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল সমকালকে বলেন, গত বছর থেকে বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরগুনায় ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি। জেলার শহর-গ্রাম সর্বত্র এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। চিকিৎসাসেবা বাড়াতে জেলা হাসপাতালে তাৎক্ষণিক দুই চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। এ বছর বরিশাল বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যার তিনজনই বরগুনার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১ হাজার ২৭১ রোগী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রয়েছেন। এর পর চট্টগ্রামে ৮৩৬, ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৩৫, খুলনা বিভাগে ১৬৫, ময়মনসিংহে ৯৬, রাজশাহীতে ৮৭, রংপুর ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি ১৯ জন করে। এ বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন জানান, জানুয়ারির জরিপে তারা ঢাকার চেয়ে বরিশাল বিভাগে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পান। সে সময় মশা নিধনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। একদিকে মশার ঘনত্ব বেশি; অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম তেমন না হওয়ায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই পরীক্ষা করাননি। তারা এখন হাসপাতালে আসছেন। সঙ্গে নতুন করে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। সবমিলেই সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৮৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ২০২ জনই বরগুনা জেলায়। আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, ‘ঈদের ছুটির কারণে পরীক্ষা কম হয়েছে। এখন পরীক্ষা বেশি হচ্ছে, তাই রোগীও বাড়ছে। চলতি বছর শুরু থেকেই বরিশাল বিভাগে রোগী বেশি।’

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বরিশাল বিভাগে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে সর্বোচ্চ সংখ্যা

আপডেট সময় : ১২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

বরিশাল বিভাগে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে রোগী দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩০৩ জনে। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে রয়েছেন ২ হাজার ২৭৫ জন, যা মোট আক্রান্তের ৪২ শতাংশ।

এদিকে, এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে ২৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। শনাক্তদের মধ্যে ২৬১ জনই বরিশাল বিভাগের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জানুয়ারিতে মশা জরিপ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। জরিপে বরিশাল বিভাগে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করলেও মশা নিধনে পদক্ষেপ দেখা যায়নি সংশ্লিষ্টদের। ফলে এ বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যমতে, বিভাগের মধ্যে ৭৯ জন ভর্তি বরগুনার হাসপাতালে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তাসকিয়া সিদ্দিকী জানান, তাদের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বুধবার পর্যন্ত ৭২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি। জেলার বামনা উপজেলা হাসপাতালে চার ও পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে আছেন তিনজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল সমকালকে বলেন, গত বছর থেকে বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরগুনায় ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি। জেলার শহর-গ্রাম সর্বত্র এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। চিকিৎসাসেবা বাড়াতে জেলা হাসপাতালে তাৎক্ষণিক দুই চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। এ বছর বরিশাল বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যার তিনজনই বরগুনার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১ হাজার ২৭১ রোগী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রয়েছেন। এর পর চট্টগ্রামে ৮৩৬, ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৩৫, খুলনা বিভাগে ১৬৫, ময়মনসিংহে ৯৬, রাজশাহীতে ৮৭, রংপুর ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি ১৯ জন করে। এ বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন জানান, জানুয়ারির জরিপে তারা ঢাকার চেয়ে বরিশাল বিভাগে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পান। সে সময় মশা নিধনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। একদিকে মশার ঘনত্ব বেশি; অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম তেমন না হওয়ায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই পরীক্ষা করাননি। তারা এখন হাসপাতালে আসছেন। সঙ্গে নতুন করে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। সবমিলেই সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৮৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ২০২ জনই বরগুনা জেলায়। আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, ‘ঈদের ছুটির কারণে পরীক্ষা কম হয়েছে। এখন পরীক্ষা বেশি হচ্ছে, তাই রোগীও বাড়ছে। চলতি বছর শুরু থেকেই বরিশাল বিভাগে রোগী বেশি।’