ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প25 ফেনীতে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ভাঙছে বেড়িবাঁধ25 আজ ৭ জেলায় নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি25 ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ25 সদরপুরে উন্মুক্ত লটারিতে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব ডিলার নির্বাচিত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত: অবরুদ্ধ মানুষের আহাজারি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হয় না, জানাল মার্কিন দূতাবাস SSC রেজাল্ট ২০২৫: ১০ জুলাই সম্ভাব্য ফল প্রকাশের তারিখ ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গ্যাস বন্ধ থাকবে সোমবার, জানিয়েছে তিতাস গ্যাস গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত: গণহত্যার ধারাবাহিকতা চলছে

কৃষিজমি বাঁচাতে মাঠে সাংসদ!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০ ১৫ বার পড়া হয়েছে

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে করোনা সংকটকালেও চলছে কৃষিজমিতে পুকুর খননের মহোৎসব। বৈধ পরিবহনগুলো বন্ধ থাকলেও ধূলা উড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করে সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর। অবশেষে কৃষিজমি রক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস। প্রশাসনের ওপর ভরসা না করেই ভূমিখেকোদের দমন করতে মাঠে নেমেছেন তিনি।

জানা গেছে, গত তিনদিনে উপজেলার বিশটি পয়েন্টে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করেছেন এই সংসদ সদস্য। এসময় নিষেধ না মানায় এমপি নিজেই উপস্থিত থেকে কয়েকটি ভেকুর ব্যাটারী খুলে নেন এবং ভেকু মেশিন ভাঙচুর করেন। এ অভিযানে ভূমিখেকোরা লেজ গুটাতে শুরু করেছে। আর খননকৃত পুকুরের পাশর্^বর্তী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমি নিশ্চিত জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে।

এদিকে উপজেলার ১৪টি ইটভাটা আর বিশাল আকারের শত শত পুকুর গিলে খাচ্ছে এই জনপদের তিনফসলি কৃষি জমিগুলো। উপজেলার চাপিলা, বিয়াঘাট, নাজিরপুর, ধারাবারিষা, মশিন্দা, খুবজীপুর ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার মধ্যে অসংখ্য পুকুর খনন করে সাবাড় করা হচ্ছে কৃষিজমি। উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে জরিমানা করলেও থেমে থাকেনা এই অবৈধ পুকুর খনন কর্মযোগ্য।
এছাড়া কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলার পাকা সড়কগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাটিবহনকারী গাড়ির কারণে। মাটির প্রলেপে ঢেকে গেছে সড়কগুলো। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব সড়কে কোনো পরিবহন চলাচল করতে পারেনা।

ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেছেন, প্রশাসনকে বলেও পুকুর খনন বন্ধ হয়না। এমপি কুদ্দুস তাদের ফসলি জমি বাঁচানোর জন্য শান্তির দূত হয়ে মাঠে নেমেছেন।

কৃষি ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী একশ’ বছরেও গুরুদাসপুরে আর একটি পুকুরের প্রয়োজন হবেনা।

চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আত্হার হোসেন বলেন, এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে আগামী দশ বছর পর গুরুদাসপুরে কোনো কৃষিজমি থাকবেনা।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনের জড়ালো ভূমিকা না থাকায় মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি। পুকুর খননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বেশি বেশি সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানিয়েছেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কৃষিজমি বাঁচাতে মাঠে সাংসদ!

আপডেট সময় : ০৮:১৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে করোনা সংকটকালেও চলছে কৃষিজমিতে পুকুর খননের মহোৎসব। বৈধ পরিবহনগুলো বন্ধ থাকলেও ধূলা উড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করে সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর। অবশেষে কৃষিজমি রক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস। প্রশাসনের ওপর ভরসা না করেই ভূমিখেকোদের দমন করতে মাঠে নেমেছেন তিনি।

জানা গেছে, গত তিনদিনে উপজেলার বিশটি পয়েন্টে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করেছেন এই সংসদ সদস্য। এসময় নিষেধ না মানায় এমপি নিজেই উপস্থিত থেকে কয়েকটি ভেকুর ব্যাটারী খুলে নেন এবং ভেকু মেশিন ভাঙচুর করেন। এ অভিযানে ভূমিখেকোরা লেজ গুটাতে শুরু করেছে। আর খননকৃত পুকুরের পাশর্^বর্তী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমি নিশ্চিত জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে।

এদিকে উপজেলার ১৪টি ইটভাটা আর বিশাল আকারের শত শত পুকুর গিলে খাচ্ছে এই জনপদের তিনফসলি কৃষি জমিগুলো। উপজেলার চাপিলা, বিয়াঘাট, নাজিরপুর, ধারাবারিষা, মশিন্দা, খুবজীপুর ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার মধ্যে অসংখ্য পুকুর খনন করে সাবাড় করা হচ্ছে কৃষিজমি। উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে জরিমানা করলেও থেমে থাকেনা এই অবৈধ পুকুর খনন কর্মযোগ্য।
এছাড়া কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলার পাকা সড়কগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাটিবহনকারী গাড়ির কারণে। মাটির প্রলেপে ঢেকে গেছে সড়কগুলো। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব সড়কে কোনো পরিবহন চলাচল করতে পারেনা।

ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেছেন, প্রশাসনকে বলেও পুকুর খনন বন্ধ হয়না। এমপি কুদ্দুস তাদের ফসলি জমি বাঁচানোর জন্য শান্তির দূত হয়ে মাঠে নেমেছেন।

কৃষি ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী একশ’ বছরেও গুরুদাসপুরে আর একটি পুকুরের প্রয়োজন হবেনা।

চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আত্হার হোসেন বলেন, এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে আগামী দশ বছর পর গুরুদাসপুরে কোনো কৃষিজমি থাকবেনা।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনের জড়ালো ভূমিকা না থাকায় মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি। পুকুর খননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বেশি বেশি সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানিয়েছেন।