বিএনপি-জামাত গণতন্ত্রের শত্রু, সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা: শেখ পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি-জামাত গণতন্ত্রের শত্রু, সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা উল্লেখ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন,যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, এই দেশে যে নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজমান তার আরেকটা প্রমাণ যে বিএনপি কোন রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সভা সমাবেশ করে চলেছে। তাদের রাজনৈতিক অধিকার তাঁরা চর্চা করছে। আমাদের কিন্তু সমাবেশ করতে দেয়া হত না। এমনকি আমাদের সমাবেশে পুলিশের লাঠি চার্জ করা ছিল নিত্ত-নৈমিত্তিক ব্যাপার।

তিনি বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি যে, অন্ততপক্ষে এই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবার পর থেকে সকল নির্বাচনই অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়ে চলেছে। আগামীর নির্বাচন আরও সুষ্ঠু এবং কঠিন নির্বাচন হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয়। বিশেষ করে সাম্প্রতিক নির্বাচনসমূহ তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। সুতরাং আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা না, যারা নির্বাচন প্রত্যাহার করে, নির্বাচনের দিন হরতাল-অবরোধ ডাকে, নির্বাচনের দিন জনগণকে ভয়-ভীতি দেখায়, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। বিএনপি-জামাত গণতন্ত্রের শত্রু, সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা।

মঙ্গলবার (৩০ মে, ২০২৩ইং) সকালে শিল্পকলা একাডেমীতে বরিশালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

যুবলীগের সভাপতি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বরিশালের এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই নির্বাচনটা এমন একটা সময় হচ্ছে, মাত্র ৬ মাস পর জাতীয় নির্বাচন। তাই আমরা বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখছি। নির্বাচনী প্রচারণা কমিটিতে যাদেরকে রাখা হয়নি তাদের উদ্দেশ্যে বিনয়ের সাথে বলবো, মান অভিমান ভুলে গিয়ে, আপনারা দয়া করে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন। আমাদের ব্যক্তিগত মান-অভিমান, অনুভূতি অথবা কষ্টের জন্য, এই নৌকা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সর্বোপরি বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আপনাদের কাছে আমার বিনীত এবং হাত জোর করে অনুরোধ করছি, আপনারা সবাই নিঃস্বার্থভাবে এবং নিঃশর্তভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে আনুগত্য ও শৃঙ্খলা একটা বিরাট ব্যাপার। আমাদের আনুগত্য নৌকার প্রতি। নৌকা কিসের প্রতীক? নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, নৌকা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। নৌকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। নৌকা আমাদের অনুভূতিরও প্রতীক। কারণ নৌকা আমাদের ভালোবাসার নাম। নৌকার সম্মান রাখার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই নির্বাচনে আমাদের নৌকার মান সমুন্নত রাখার শপথ নিতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থ বা আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থ ভুলে এখন আমাদের নৌকাকে তুলে ধরতে হবে। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা এই নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নৌকার সম্মান রাখতে পারে।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. এ কে এম জাহাঙ্গীর, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনূস।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title