বড়াইগ্রামে কর্দমাক্ত ১ কি.মি কাঁচা সড়ক সংস্করণ করলো স্থানীয় কৃষকেরা

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মানিকপুর এলাকার দীর্ঘ ১ কি.মি. কর্দমাক্ত গ্রামীণ কাঁচা সড়ক নিজস্ব উদ্যোগে সংস্করণ করলো স্থানীয় কৃষকেরা। সড়ক সংস্করণ বাবদ সর্বমোট ২ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ের পুরোটাই বহন করেছে তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেনের উদ্যোগে এ কাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে মাত্র ১৪ দিন। ওই ইউপি সদস্যের নেতৃত্বেই স্থানীয় কৃষকেরা একত্রিত হয়ে ’সড়ক উন্নয়ন তহবিল’ গঠন করেন এবং সেখানে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা জমা দেন। বাকী ৫৭ হাজার টাকা ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খরচ করেন। অপরদিকে পাশ^বর্তী জোয়াড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সড়ক হতে রামাগাড়ী ভায়া কুমুল্লু দীর্ঘ ৫ কি.মি সড়কটি সম্পূর্ণ ভালো। সেই পাকা সড়কটি ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুনঃসংস্করণের কাজ চলছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভালো সড়কটিই ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে (যা উপরোক্ত ছবির প্রথম অংশ)। পক্ষান্তরে মাঝগাঁও এর মানিকপুরে গ্রামিণ কাঁচা সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে পুনঃসংস্করণ করছে। জোয়াড়ি ইউনিয়নে ভালো সড়ক পুনঃসংস্করণের ঘটনায় ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর এ ধরণের অবিবেচক কাজের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সুধী মহল। অনেকেরই মন্তব্য, যেখানে উপজেলায় অসংখ্য কাঁচা সড়ক রয়েছে সেখানে ভালো সড়ক পুনঃসংস্কারণের ঘটনাটি নিঃসন্দেহে সরকারী অর্থের অপচয় এবং অবশ্যই তা উদ্দেশ্য প্রণেদিত।
মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সড়ক সংস্করণের প্রধান উদ্যোগী মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এলাকাটি কৃষি নির্ভর এলাকা। এই এলাকার সব্জি, ফল ও ফসল স্থানীয় হাট-বাজারে নেওয়ার জন্য এই সড়কটিই ব্যবহৃত হয়। বছরের বেশীর ভাগ সময় সড়কটি মারাতœক কর্দমাক্ত থাকে। দীর্ঘ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পাকাকরণের জন্য দাবি করে আসছে এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি না দেওয়ায় বাধ্য হয়েই স্থানীয় কৃষকেরাই চাঁদা তুলে এই সড়কটিতে ইটের খোয়া ও বালু বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করেছে। সড়কটি ১২ ফুট চওড়া, টাকার যোগান কম হওয়ায় ৬ ফুট চওড়া করে ১ কি.মি ইটের খোয়া ও বালু বিছিয়ে কোন মতো ভ্যান বা গ্রামিণ যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্থানীয় আম ও পেয়ারা চাষী কুমেদ আলী, আলতাব হোসেন ও আব্দুল কাদের জানান, স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে এই সড়ক কিছুটা চলাচলের উপযোগী হওয়ায় এবারে হাটে পেয়ারা, আম সহ অন্যান্য সব্জি পাঠাতে পরিবহন খরচ কম হয়েছে। তবে এই সড়কটি পাকা করা অতি জরুরী।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, গ্রামিণ এই সড়কটি স্থানীয় অর্থনীতির সাথে যুক্ত। যার ফলে এই সড়কটি পাকা করা হলে স্থানীয় কৃষক ও শিক্ষার্থী সহ অন্যান্যরা দারুণভাবে সুফল পাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title