ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১ ১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রাইম টিভি বাংলা :আজ ৩০ মে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকার কারণে ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে তার আহ্বান জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছে। একইসাথে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জিয়াউর রহমান ‘শহীদ জিয়া’ হিসেবেই পরিচিত। শোকাবহ এই দিনটির স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মিলাদ মাহফিল, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। জাতি আজ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পায় ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। আর এই বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের বক্তা জিয়াউর রহমান জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তার অন্যতম উপহার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী রাজনৈতিক দল ‘বিএনপি’। তার শাহাদতের পর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল তিনবার জনগণের ভোটে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

প্রেসিডেন্ট জিয়া খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্পোন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশের ভিত রচনা করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা প্রতিষ্ঠাসহ নারীসমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত। মুসলিম বিশ্বে, জোটনিরপেক্ষ বলয়ে ও পাশ্চাত্যে তেজোদ্দীপ্ত ও প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ভূমিকা পালনে, সফল স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে শহীদ জিয়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে এক মর্যাদাবান রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। সিপাহি-জনতার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে ক্ষমতায় এসে স্বল্পসময়ের শাসনকালে তিনি বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছিলেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

প্রাইম টিভি বাংলা :আজ ৩০ মে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকার কারণে ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে তার আহ্বান জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছে। একইসাথে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জিয়াউর রহমান ‘শহীদ জিয়া’ হিসেবেই পরিচিত। শোকাবহ এই দিনটির স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মিলাদ মাহফিল, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। জাতি আজ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পায় ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। আর এই বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের বক্তা জিয়াউর রহমান জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তার অন্যতম উপহার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী রাজনৈতিক দল ‘বিএনপি’। তার শাহাদতের পর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল তিনবার জনগণের ভোটে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

প্রেসিডেন্ট জিয়া খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্পোন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশের ভিত রচনা করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা প্রতিষ্ঠাসহ নারীসমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত। মুসলিম বিশ্বে, জোটনিরপেক্ষ বলয়ে ও পাশ্চাত্যে তেজোদ্দীপ্ত ও প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ভূমিকা পালনে, সফল স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে শহীদ জিয়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে এক মর্যাদাবান রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। সিপাহি-জনতার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে ক্ষমতায় এসে স্বল্পসময়ের শাসনকালে তিনি বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছিলেন।