ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প25 ফেনীতে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ভাঙছে বেড়িবাঁধ25 আজ ৭ জেলায় নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি25 ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ25 সদরপুরে উন্মুক্ত লটারিতে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব ডিলার নির্বাচিত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত: অবরুদ্ধ মানুষের আহাজারি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হয় না, জানাল মার্কিন দূতাবাস SSC রেজাল্ট ২০২৫: ১০ জুলাই সম্ভাব্য ফল প্রকাশের তারিখ ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গ্যাস বন্ধ থাকবে সোমবার, জানিয়েছে তিতাস গ্যাস গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত: গণহত্যার ধারাবাহিকতা চলছে

না’গঞ্জে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবার: প্রয়োজন আলাদা থাকার ব্যবস্থা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারিতে আছেন চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। এসব পেশাজীবীর মধ্যে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। সেই সাথে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের সাথে সামনে এসেছে তাদের পরিবারের সুরক্ষার বিষয়।

নারায়নগঞ্জে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ৩০০ শয্যার ইতিমধ্যে সিভিল সার্জেনসহ ১৩জন চিকিৎসক এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসরা করোনা আক্রান্ত রোগীর সামনে থাকায় তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ। করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে যখন তারা বাড়ি ফিরেন তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে কয়েকগুন। নারায়নগঞ্জে প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ চিকিৎসক নারায়নগঞ্জ এলাকায় থাকার তাদের বাড়ি হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায় এবং নারায়নগঞ্জের মধ্যেই । ফলে তারা নিজের দ্বায়িত্ব পালন শেষে তারা ফিরে যান। এতে করে তাদের পরিবারের করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়ে যায়।

এবিষয়ে একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তারা জানায়, নারায়নগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে। পযাপ্ত পরিমানে পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস মজুদ আছে। তারা সম্পুর্ন সুরক্ষা নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা জানান, অধিকাংশ চিকিৎসকদের বাসা আশেপাশে থাকায় তারা নিজেকে জীবানুমুক্ত করে নিজের বাসায় ফিরছেন। এখনও তাদের মধ্য থেকে তাদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয় পরিলক্ষিত হয়নি। তবে এমন পরিস্থির সৃষ্টি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের থাকা, খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিকিৎসকরা যেহেতু সবচেয়ে কাছে থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। প্রাথমিক ভাবে তাদের লক্ষন দেখা দেওয়ার ঝুঝার উপায় থাকে না যে তারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কি না। এ অবস্থায় তারা যদি বাসায় গিয়ে থাকেন তাদের মাধ্যমে পরিবারের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তাই তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসকদের অব্যশই আলাদা থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

এর আগে, ঢাকায় ৬টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক, নাস ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ১৯টি হোটেলে আলাদা থাকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা প্রদানকারী কাউকেই বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। একটানা ১৪দিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করার পর তাদের ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর তারা বাসায় ফিরতে পারবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে।

 

 

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

না’গঞ্জে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবার: প্রয়োজন আলাদা থাকার ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারিতে আছেন চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। এসব পেশাজীবীর মধ্যে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। সেই সাথে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের সাথে সামনে এসেছে তাদের পরিবারের সুরক্ষার বিষয়।

নারায়নগঞ্জে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ৩০০ শয্যার ইতিমধ্যে সিভিল সার্জেনসহ ১৩জন চিকিৎসক এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসরা করোনা আক্রান্ত রোগীর সামনে থাকায় তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ। করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে যখন তারা বাড়ি ফিরেন তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে কয়েকগুন। নারায়নগঞ্জে প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ চিকিৎসক নারায়নগঞ্জ এলাকায় থাকার তাদের বাড়ি হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায় এবং নারায়নগঞ্জের মধ্যেই । ফলে তারা নিজের দ্বায়িত্ব পালন শেষে তারা ফিরে যান। এতে করে তাদের পরিবারের করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়ে যায়।

এবিষয়ে একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তারা জানায়, নারায়নগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে। পযাপ্ত পরিমানে পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস মজুদ আছে। তারা সম্পুর্ন সুরক্ষা নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা জানান, অধিকাংশ চিকিৎসকদের বাসা আশেপাশে থাকায় তারা নিজেকে জীবানুমুক্ত করে নিজের বাসায় ফিরছেন। এখনও তাদের মধ্য থেকে তাদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয় পরিলক্ষিত হয়নি। তবে এমন পরিস্থির সৃষ্টি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের থাকা, খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিকিৎসকরা যেহেতু সবচেয়ে কাছে থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। প্রাথমিক ভাবে তাদের লক্ষন দেখা দেওয়ার ঝুঝার উপায় থাকে না যে তারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কি না। এ অবস্থায় তারা যদি বাসায় গিয়ে থাকেন তাদের মাধ্যমে পরিবারের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তাই তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসকদের অব্যশই আলাদা থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

এর আগে, ঢাকায় ৬টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক, নাস ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ১৯টি হোটেলে আলাদা থাকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা প্রদানকারী কাউকেই বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। একটানা ১৪দিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করার পর তাদের ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর তারা বাসায় ফিরতে পারবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে।